চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগ
ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রহিম মিয়া ঝালকাঠি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এছাড়া ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
তিনি তার অভিযোগে জানান, কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম মিয়া ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আব্দুস শুক্কুর মোল্লা। এ বছরের নির্বাচনেও শুক্কুর মোল্লা দলীয় মনোনয়ন পান।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, আব্দুর রহিম মিয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। বৃহস্পতিবার রহিম মিয়া কর্মী সমর্থক নিয়ে উপজেলা পরিষদে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে পরিষদের সামনে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী শুক্কুর মোল্লার ছেলে রাহাত মোল্লা ও র্যাভেন মোল্লা অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন নিয়ে রহিম মিয়াকে লাঞ্ছিত করে জীবননাশের হুমকি দিয়ে মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেন।
এ সময় রহিম মিয়ার কয়েকজন সমর্থক বাধা দিলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। কিছুক্ষণ পরে কীর্ত্তিপাশার আব্দুর রহমান, মো. মকিম মিয়া, হাফিজুর রহমানদের চাপে কিছু কাগজপত্র রেখে মনোনয়নপত্র ফেরত দেয়া হয়।
রহিম মিয়া অভিযোগ করেন, বর্তমান চেয়ারম্যান শুক্কুর মোল্লার ছেলেরা আমাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য হুমকি দিচ্ছেন। আমি যদি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি তাহলে তারা আমাকে হত্যা করতে পারে। তাই আমি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করছি।
ঝালকাঠি থানার ডিউটি অফিসার আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আব্দুর রহিম মিয়ার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ওসি স্যারের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুস শুক্কুর মোল্লা বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় আমার বড় ছেলে রাহাতের সঙ্গে রহিম মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। আমার ছোট ভাই মাহফুজুর রহমান পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল হালিম তালুকদারের সামনে সমস্যার সমাধান করে দেন। মনোনয়নপত্র ছিনতাইয়ের কোনো ঘটনা ঘটেনি। জীবননাশের হুমকির অভিযোগ সত্য নয়।’
আতিকুর রহমান/জেডএইচ