জমে উঠেছে কাটাগড়ের মেলা
![জমে উঠেছে কাটাগড়ের মেলা](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/mela-4-20210327135759.jpg)
করোনাভাইরাসের কারণে গতবছর বন্ধ থাকার পর ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আবারও শুরু হয়েছে কাটাগড়ের মেলা। এটি প্রায় ৩০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ মেলা। কয়েকশত একর এলাকাজুড়ে অনুষ্ঠিত এ মেলায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটেছে।
প্রতিবছর ২৬ মার্চ (বাংলা সনের ১২ চৈত্র) ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড় গ্রামের ধর্মীয় সাধক দেওয়ান শাগির শাহর (রহ.) মাজারের বার্ষিক ওরস উপলক্ষে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় এ মেলা।
মেলায় বসেছে দুই থেকে ৩০০ মিষ্টির দোকান ও খাবার হোটেল, ফার্নিচার সামগ্রীসহ হরেক রকম খেলনা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় গৃহস্থালি সামগ্রীর কয়েক হাজার দোকান। একইসঙ্গে রয়েছে নাগরদোলা, যাদু প্রদর্শনী, ভ্যারাইটি শো, মোটরবাইক শো। গ্রামীণ ঐতিহ্যের এ মেলায় পাওয়া যায় সাঁজ বাতাশা, তালের পাখা, বাঁশের তৈরি নানা রকম খেলনা, তৈজসপত্র, চুরি- ফিতা, দা, বটি, চাকু, ছুরি থেকে শুরু করে লক্ষ টাকা দামের কাঠের ফার্নিচার সামগ্রী।
মেলা উপলক্ষে আশপাশের বেশ কয়েক গ্রামের বাসিন্দারা মেতে উঠেছে উৎসবের আমেজে। নানা এলাকা থেকে ছুটে এসেছেন স্বজনরাও।
ভুলবাড়িয়া গ্রামের সহকারী শিক্ষক, সাংবাদিক কাজী আমিনুল ইসলাম বলেন, কাটাগড়ের মেলা অত্র এলাকার ইতিহাস-ঐতিহ্যময়। মেলাকে ঘিরে আশপাশের প্রায় অর্ধশত গ্রামজুড়ে বইছে উৎসবের আমেজ। এ মেলার সাজ-বাতাসা প্রায় ঘরে বছরভর থাকে, যা পুরনো ঐতিহ্য। গ্রামের অনেক মানুষ ঈদ বা পূজাতে বাড়ি না এলেও মেলায় আসেন।
মেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মশিউল আজম বাবু মিয়া বলেন, ‘কাটাগড় মেলা এই এলাকায় নাম করা একটি মেলা। মেলায় এক সময় ঘোড়দৌড় হতো এখন আর তা হয় না। ১২ চৈত্র মেলা অনুষ্ঠিত হয় কিন্তু ১২ চৈত্রর ৫-৬ দিন আগে থেকে মেলা শুরু হয়ে যায়। গত বছর করোনাভাইরাস কারণে মেলাটি বন্ধ করে দেয়া হয়। এ বছর প্রশাসন থেকে কোনো নির্দেশ জারি হয়নি।’
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনাচর্জ (ওসি) মো. নুরুল আমীন জানান, এটি একটা পুরাতন মেলা। গতবার বন্ধ ছিল। এবার আমাদের কাছে বন্ধের কোনো নির্দেশনা ছিল না। এরপরও করোনাভাইরাসের কারণে সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।’
বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঝোটন চন্দ্র জানান, মেলায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে প্রচার-প্রচারণাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এসজে/এমএস