বন্ধ রয়েছে রাঙ্গামাটির পর্যটনকেন্দ্র
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে রাঙ্গামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়।
পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ছাড়াও গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন ও কমিউনিটি সেন্টারগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
সকালে জেলার বিভিন্ন পর্যটককেন্দ্রে দেখা যায়, সকাল থেকে রাঙ্গাামাটি পার্ক, পলওয়ে পার্ক তালাবদ্ধ রয়েছে। তবে ঝুলন্ত সেতুর প্রবেশপথ তালাবদ্ধ না থাকায় সেতুতে কিছু পর্যটককে ঘুরতে দেখা গেছে। হ্রদে ঘুরে বেড়ানোর বোটগুলো ঘাটে বাঁধা ছিল।
এছাড়া টেক্সটাইলের দোকানগুলোতে বিক্রয়কর্মীদের অলস বসে থাকতে দেখা গেছে। আবাসিক হোটেলগুলোও ধীরে ধীরে খালি করা হচ্ছে।
রেস্টুরেন্টগুলোতে এক সিট তুলে রাখার নির্দেশনা দেয়া হলেও সেটা এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি। রাস্তায় চলাচলকারী মানুষের মুখে মাস্ক দেখা গেলেও দোকানিদের মুখে ছিল না মাস্ক।
যশোর থেকে ঝুলন্ত সেতুতে ঘুরতে আসা এক পর্যটক বলেছেন, রাঙ্গামাটিতে গতকাল ঘুরতে এসে নিষেধাজ্ঞার কথা জানতে পেরেছি। এতকাছে এসে ঝুলন্ত সেতু না দেখে যাওয়া ঠিক হবে না ভেবে চলে যাওয়ার আগে একবার দেখতে এসেছি।
ঘুরতে আসা এক দম্পতি বলেন, রাঙ্গামাটিতে ঘুরতে এসেছি। আসার পর পর্যটনকেন্দ্র বন্ধের কথা জানতে পাই। আজকে চলে যাব।
পর্যটন বোট ঘাটের ইজারাদার রমজান আলী বলেছেন, সরকারি নির্দেশনার পর আমরা বোট ভাড়া দেয়া বন্ধ রেখেছি। নির্দেশনা পেলে তবেই আবার চালু করা হবে।
আবাসিক হোটেল মতি মহলের ব্যবস্থাপক চন্দনদাশ বর্মণ বলেছেন, অগ্রিম যা বুকিং ছিল সব বাতিল করা হয়েছে।
রাঙ্গামাটি পর্যটক কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেছেন, হোটেল ও বিনোদনকেন্দ্র দুইটির মধ্যে বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে। ৫০ ভাগ পর্যটক হোটেলে রাখার সুযোগ থাকলেও পর্যটনকেন্দ্র বন্ধের ঘোষণায় সব বুকিং বাতিল হয়ে গেছে।
শংকর হোড়/এসএমএম/এএসএম