পঞ্চগড়ের আলু গেল মালয়েশিয়ায়
পঞ্চগড়ের বিভিন্ন ক্ষেতে উৎপাদিত আলু মালয়েশিয়ায় রফতানির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) হিমাগারের ব্যবস্থাপনায় ১৪ টাকা কেজি দরে কিনে সাড়ে ৮ কেজি করে আলু প্যাকেটজাত করা হয়। মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) ২৮ টনের একটি চালান মালয়েশিয়ায় রফতানির জন্য পাঠানো হয়েছে।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার ৯ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করে ২ লাখ ২৫ হাজার ৯৩৯ টন আলু উৎপাদন হয়েছে। এরমধ্যে পঞ্চগড় বিএডিসি হিমাগারের আওতায় ৩০০ একর জমিতে এক হাজর ৯০০ টন আলু উৎপাদন করা হয়। ২০ একর জমিতে ডায়মন্ড জাতের এবং ৩০ একর জমিতে রফতানিযোগ্য অন্যান্য জাতের আলু চাষ হয়। বিএডিসির ‘মানসম্মত বীজআলু উৎপাদন, সংরক্ষণ এবং কৃষক পর্যারয়ে বিতরণ জোরদারকরণ প্রকল্প’র আওতায় চুক্তিবদ্ধ চাষিদের মাধ্যমে এই জাতের আলু উৎপাদন করে রফতানি করা হচ্ছে।
এই জাতের প্রতিটি আলুর ওজন ৯০ গ্রাম থেকে ২০০ গ্রাম পর্যন্ত। কেএস ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার আমদানিকারক চিন হুয়াত ট্রেডিং এসব আলু চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মালয়েশিয়ায় আমদানি করছে। জেলা থেকে পর্যায়ক্রমে ৫০০ টন উন্নত জাতের আলু বিদেশে রফতানির লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিএডিসি সূত্র জানায়, রফতানিযোগ্য ডায়মন্ড জাতের আলু চাষের জন্য স্থানীয় বিএডিসি হিমাগার থেকে কৃষকদের বীজ সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান, টেকনিক্যাল সাপোর্ট এবং কর্মকর্তাদের তদারকির কারণে আলুর উৎপাদন ভালা হয়েছে। বিঘাপ্রতি ৩০ হাজার থেকে ৩৩ হাজার টাকা খরচ করে ৯০ থেকে ১০০ মণ পর্যন্ত আলু উৎপাদন হয়েছে। বিঘাপ্রতি আলু বিক্রি হবে ৬০ হাজার থেকে ৬৫ হাজার টাকা।
পঞ্চগড় বিএডিসি হিমাগারের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল হাই বলেন, ‘প্রথম দফায় মঙ্গলবার ২৮ টনের একটি আলুর চালান মালয়েশিয়ায় রফতানির জন্য পাঠানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ৫০০ টন উন্নত জাতের আলু রফতানির লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে।’

পঞ্চগড়ে উৎপাদিত ডায়মন্ড জাতের আলু মালয়েশিয়ায় রফতানির জন্য রফতানিকারক পছন্দ করেছেন বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, এভাবে সরকারি উদ্যোগে আলু বিদেশে রফতানি করা গেলে কৃষকেরা অনেক বেশি লাভবান হবেন।
সফিকুল আলম/এসআর/এএসএম