লকডাউন উপেক্ষা করে অবাধে ঘুরছে মানুষ
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের লকডাউন চলছে। লকডাউনের প্রথম দিনে ঝিনাইদহ শহরে আগের মতোই বের হয়েছে মানুষ। কারও মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি লক্ষ্য করা যায়নি।
সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, লকডাউন উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হয়েছে মানুষ। বেশরিভাগে মানুষের মুখে নেই মাস্ক। কারও কারও মাস্ক থাকলেও সঠিক নিয়মে ব্যবহার করছে না। পুলিশ দেখে পকেট থেকে মাস্ক বের করে মুখে লাগাতে দেখা গেছে অনেককে।
একই চিত্র জেলার কালীগঞ্জ, কোটচাঁপুর, মহেশপুর, শৈলকুপা, হরিনাকুন্ডু উপজেলা শহরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে।

ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দুরপাল্লা ও স্থানীয় রুটের কোন যানবাহন ছেড়ে যেতে দেখা না গেলেও শহরসহ বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে একাধীক যাত্রী নিয়ে অবাধে চলাচল করছে রিক্সা, ইজি বাইক, ভ্যান, থ্রি-হুইলার ও মোটরসাইকেলসহ ব্যক্তিগত বাহন।
লকডাউনের মধ্যে যারা বাইরে ঘোরাফেরা করছেন তাদের ঘরে ফেরাতে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের অভিযান চলছে। অভিযানের সম্মুখ পড়লেই বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছেন বাইরে বের হাওয়া মানুষ।
এক রিকশায় তিনযাত্রী বাড়ি ফিরছেন। তাদের একজন আফসানুর রহমান সেতু। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘লকডাউন তাই রাতে ঢাকা থেকে এসেছি। তিনজন একই পরিবারের হওয়ায় একসাথে রিকশায় উঠেছি।’
রোকন আলী বলেন, ‘শরীর খারাপ, তাই স্ত্রীকে সাথে নিয়ে ডাক্তারের কাছে এসেছিলাম। লকডাউন জানি কিন্তু কি করবো ডাক্তারতো দেখাতেই হবে।’

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান বলেন, ‘শহরের প্রতিটি মোড়ে, হাট-বাজারে জেলা প্রশাসনের অভিযান, তদারকি চলছে। প্রথম দিনে সকালের দিকে কিছু মানুষ হয়তো অসচেতন ছিল। আমরা চেষ্টা করছি সকলকেই ঘরে রাখার জন্য।’
অপরদিকে পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘শহরের প্রতিটি প্রবেশ মুখ, সড়ক-মহাসড়কে পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে। কোনো যানেই একাধীক যাত্রী বহন করতে দেওয়া হচ্ছে না।’
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/আরএইচ/এএসএম