মেহেদীর রঙ না শুকাতেই প্রাণ গেল নববধূর!

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নরসিংদী
প্রকাশিত: ০৯:১৭ পিএম, ০৬ এপ্রিল ২০২১

হাতের মেহেদীর রঙ এখনো মোছেনি। এরই মধ্যে ‘হত্যাকাণ্ড’র শিকার হয়েছেন শিল্পী রানী দাস (১৯) নামে এক নববধূ। অভিযোগ উঠেছে, মাত্র ১০ হাজার টাকা ও আধা ভরি স্বর্ণালঙ্কারের জন্য তাকে প্রাণ দিতে হয়েছে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে নরসিংদীর পলাশ থানা পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে।

নিহতের ভাই শুভ চন্দ্র দাস জানান, চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার প্রদীপ চন্দ্র দাসের মেয়ে শিল্পী রানী দাসের সঙ্গে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের জিনারদী গ্রামের বিমল দাসের ছেলে শ্যামল দাসের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের সময় ছেলে পক্ষ নগদ এক লাখ ১০ হাজার টাকা ও এক ভরি স্বর্ণালঙ্কার দাবি করে। এসময় শিল্পীর পরিবার ছেলে পক্ষকে নগদ এক লাখ টাকা ও আধা ভরি স্বর্ণালঙ্কার দেয়। ছেলে পক্ষের দাবিকৃত টাকা থেকে আধা ভরি স্বর্ণ ও ১০ হাজার টাকা কম দেয়ায় বিয়ের পর থেকেই শিল্পীর ওপর নির্যাতন শুরু হয়। পরে মেয়ের নির্যাতন সইতে না পেরে যৌতুকের বাকি টাকা ও স্বর্ণ পরিশোধে শিল্পীর পরিবার ছেলের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে ছয় মাসের সময় নেয়।

jagonews24

নিহতের ভাই জানান, এ নিয়ে গত সোমবার সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এরই একপর্যায়ে স্বামী শ্যামল শিল্পীর গলায় চাপা দিয়ে ধরেন। এতে তার মৃত্যু হয়।

পরে সোমবার বিকেলে পলাশ থানা পুলিশ শিল্পীর লাশ স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় সোমবার রাতে নববধূর ভাই শুভ চন্দ্র দাস বাদী হয়ে শ্যামল ও বিমলকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নাসির উদ্দীন জানান, নিহত শিল্পী রানীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মামলার পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত স্বামী শ্যামল ও শ্বশুর বিমলকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

সঞ্জিত সাহা/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।