খর্বকায় বর-কনের বিয়েতে মানুষের ঢল

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: ০৩:৫০ এএম, ১১ এপ্রিল ২০২১
বিয়ের আসরে বর আব্বাস মণ্ডল ও কনে মিম খাতুন। ছবি : প্রতিনিধি

বর আব্বাস মণ্ডলের বয়স ৩০ বছর হলেও উচ্চতায় তিনি ৪০ ইঞ্চি। আর ১৮ বছর বয়সী কনে মিম খাতুন লম্বায় ৪২ ইঞ্চি। খর্বকায় এই বর-কনের বিয়ে হয়েছে মহাধুমধামেই। তাদের বিয়ের খবরে খুশি এলাকাবাসীও।

খর্বকায় আব্বাস-মিম দম্পতিকে একনজর দেখতে এবং শুভকামনা জানাতে বর-কনের বাড়িতে ভিড় করছেন আশপাশের এলাকার মানুষ। তাদের কেউ কেউ আবার উপঢৌকন নিয়েও আসছেন। বিয়ে করে কনেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর বর আব্বাসের বাড়ি এখন মানুষে সরগরম।

শুক্রবার (৯ এপিল) রাতে ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলায় ধুমধাম করে এ বিয়ে হয়। বর আব্বাস মণ্ডলের বাড়ি উপজেলার আউশিয়া গ্রামে। আর কনে মিম খাতুনের বাড়ি একই উপজেলার লক্ষমণদিয়া গ্রামে।

বর-কনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছেলের খর্বকায় হওয়ায় বরের বাবা আজিবর মণ্ডল পাত্রী পাচ্ছিলেন না। আবার কনের বাবা ইউনুস আলীও মেয়ের উচ্চতা কম হওয়ায় পাত্র পাচ্ছিলেন না। অবশেষে পাত্রের খোঁজ পান কনে মিমের বাবা ইউনুল আলী। দু’পক্ষই রাজিও হয়ে যান। দেরি না করে দ্রুত দিনক্ষণ ঠিক করে শুক্রবার বিয়ে সেরে ফেলেন দুই পরিবারের সদস্যরা।

বরের বাবা আজিবর মণ্ডল বলেন, ‘আমরা কৃষক পরিবার। ছেলেটা খাটো। এজন্য অনেকদিন ধরে মেয়ে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অবশেষে শৈলকুপার লক্ষমণদিয়া গ্রামে একটি মেয়ে খুঁজে পাই। জানতে পারি গ্রামের ইউনুস আলীর মেয়েও কম উচ্চতার। বিয়ের প্রস্তাব পাঠালে তারা রাজি হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুক্রবার রাতে ছেলে আব্বাসের সঙ্গে মিমের বিয়ে দিয়েছি। বিয়েতে ১৫ জন বরযাত্রী গিয়েছিল। ছেলের বউ এখন আমাদের বাড়িতে আছে। নিয়ম অনুযায়ী- আগামীকাল আবার বাবার বাড়িতে যাবে। সবাইকে বলব- আমার ছেলে-বউমার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন ওদের সুখে রাখে।’

বরের মা সালেহা বেগমও ছেলের বউকে পেয়ে মহাখুশি। তিনিও সকলের কাছে নবদম্পতির জন্য দোয়া কামনা করেন।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।