বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে একসঙ্গে ২২৩ জনের অক্সিজেন ব্যবস্থা
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে করোনা আক্রান্তসহ সব রোগীদের সেবা দিতে কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহ চালু করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে বগুড়ার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক আনুষ্ঠানিক ভাবে এই প্লান্টের কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য হাসপাতালের চারটি ওয়ার্ড, কেবিন, জরুরি বিভাগ এবং অপারেশন থিয়েটারসহ ২২৩টি পয়েন্ট করা হয়েছে। যার মাধ্যমে ২২৩টি বেডে অক্সিজেন সরবরাহ করা যাবে।
এর আগে জরুরিভাবে বগুড়া ২৫০ শয্যার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালকে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহের (সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই) আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু করা হয়। করোনায় মুমূর্ষু রোগীদের হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার মাধ্যমে অক্সিজেন প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়ার জন্য ৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় একটি প্ল্যান্ট। হাসপাতালের পাশে প্ল্যান্টের চুল্লি ও মেশিনারিজ বসানো হয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ সচল হওয়ায় এখন থেকে হাসপাতালে করোনা রোগীরা হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার মাধ্যমে অক্সিজেন নিতে পারবেন। কারণ রোগীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার ছাড়া কাজ হয় না।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এটিএম নুরুজ্জামান বলেন, ‘সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই চালু হওয়ায় এখন করোনা আক্রান্তসহ মোট ২২৩ জন রোগীকে অক্সিজেন সাপ্লাই করা সম্ভব হবে। একইভাবে আইসিইউতে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার মাধ্যমে করোনার সঙ্কটাপন্ন রোগীরা অক্সিজেন সেবা পাবে। এতদিন সীমিত আকারে এই সেবা শুধু বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) চালু ছিল। বুধবার থেকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালও এই তালিকায় যুক্ত হলো।’
গত বছরের ২২ ডিসেম্বরে ৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রা অক্সিজেন লিমিটেড বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে কেন্দ্রীয় সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম নির্মাণের কার্যাদেশ পায়।
স্পেকট্রা অক্সিজেন লিমিটেড বগুড়ার কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কাজ দ্রুতগতিতে করা হয়েছে। সঙ্কটময় মুহূর্তে আমরা এই প্ল্যান্টটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝে দিতে পেরেছি।’
মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রোগীর আত্মীয় আব্দুল মতিন নামের একজন বলেন, ‘এখানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম চালু হওয়ার ফলে দুর্ভোগ লাঘব হলো। এখন হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীদের অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে রোগীর বেডে বেডে টানা হেঁচড়া করতে হবে না।’
এসজে/জিকেএস