নড়াইলে প্রতিবন্ধীর জমি দখলে নেয়ার চেষ্টা, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
নড়াইলে এক প্রতিবন্ধীর জমি দখল ও দোকান ভাঙার হমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বুধবার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১১টায় কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের কলামনখালী বাবরা মোড়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে বাবরা গ্রামের মো. সামছুদ্দিন শেখের ছেলে মো. মুজাহিদ শেখ বলেন, আমার বাবা একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও নিরক্ষর মানুষ। আমাদের পার্শ্ববর্তী গ্রাম ও মৌজা কলামনখালীতে বিআরএস রেকর্ড অনুযায়ী ১৭২০ ও ১৭২১ নম্বর দাগে ১১ শতক জমি রয়েছে। আমার বাবা-চাচারা চার ভাই ও এক বোনসহ মোট পাঁচজন পৈতিৃক সূত্রে ওই জমির স্বত্বাধিকারী হন। জমির ওপর রাস্তার পাশে আমার বাবার বিদ্যুৎ সংযোগসহ তিনটি দোকানঘর ও একটি মসজিদ রয়েছে। যা দীর্ঘদিন ধরে আমরা ভোগদখল করে আসছি। ওই জমির পাশে ফজলার রহমান ফৈজোর ছেলে মো. রহমত মোল্লার বসতবাড়ি রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কিছুদিন ধরে শেখ আকতারুজ্জামান ও তার চাচাতো ভাই শেখ মাহবুবুর রহমানের যোগসাজশে মো. রহমত মোল্লা ও তার ছেলে হছিবুর রহমান ওই জমি ছড়যন্ত্রমূলক অবৈধ ও বেআইনিভাবে জোর করে দখলে নিতে চান। এজন্য আমাদের দোকানের ভাড়াটিয়াদেরকে দোকানঘর ছেড়ে দিতে ও দোকানঘর ভেঙে দেয়া বলে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। পাশের জমিতে বালি ভরাট করার জন্য বাঁশ-খুঁটি দিয়ে সীমানা দেয়া হলে সেটাও তারা ভেঙে দেন। আমাদের জমি ও দোকান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ব্যাপারে কালিয়া থানায় আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
মো. সামছুদ্দিন শেখ অভিযোগ করে বলেন, মো. রহমত মোল্লা এর আগে আমতলা গ্রামের সোলায়মান ফকিরদের কলামনখালী মোজার ১ একরের বেশি জমি জালিয়াতি করে দখল করেছিলেন।

এ বিষয়ে সোলায়মান ফকিরের ছেলে আলমগীর ফকির জমি জালিয়াতির ঘটনা সত্য স্বীকার করে বলেন, রহমত মোল্লা মন্দ প্রকৃতির লোক। আমাদের জমির জাল কাগজপত্র তৈরি করেছিলেন। পরে আমরা অনেক কষ্টে জমি ফেরত পেয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে মো. রহমত মোল্লা বলেন, ‘কোনো হুমকি দেয়া হয়নি। ওই জমি আমাদের।’
হাফিজুল নিলু/এসআর/জেআইএম