ভোলায় ফের নদীতে জাল ফেলার অপেক্ষায় জেলেরা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ভোলা
প্রকাশিত: ০৩:৫৫ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২১

নিষেধাজ্ঞার দুই মাস পর ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ফের জাল ফেলার অপেক্ষা আছেন জেলেরা। শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে নদীতে সব ধরণের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইলিশের আভয়াশ্রম হওয়ায় গত ১ মার্চ থেকে ভোলার ১৯০ কিলোমিটার নদীতে সব ধরণের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। দীর্ঘ দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে নামার জন্য জাল, নৌকা, ট্রলারসহ মাছ শিকারের সরঞ্জাম প্রস্তুতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন জেলেরা। নিষেধাজ্ঞার সময় বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় দুই মাস মহাজনের কাছ থেকে ধার-দেনা করে সংসার চালিয়েছেন তারা। এসময় বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিওর ঋণের কিস্তিও পরিশোধ করতে পারেননি। ফলে মহাজনের কাছ থেকে ধার-দেনা ও ঋণের কিস্তি পরিশোধের চাপ নিয়ে নদীতে নামবেন তারা।

ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি এলাকার জেলে মো. আবু মাঝি ও খালেক মাঝি বলেন, সরকার দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দিছে আমরা জেলেরা মেনে নদীতে যাই নাই। আজ রাতে নদীতে মাছ ধরতে যামু।

হারুন মাঝি ও আজগর মাঝি ও জামাল মাঝিসহ একাধিক জেলে বলেন, দুই মাস নদীতে মাছ ধরতে পারি নাই। কোনো আয়-ইনকাম ছিল না। মহাজনের কাছ থেকে ধার-দেনা করে খাইয়া-না খাইয়া সংসার চালাইছি। এনজিওর কিস্তির টাকাও দিতে পারি নাই।

jagonews24

তারা আরও বলেন, এখন নদীতে যাইয়া আশা করি প্রচুর ইলিশ ধরমু। আর মহাজনের দেনা ও এনজিওর কিস্তি পরিশোধ করতে শুরু করমু। আর যদি নদীতে ভালো মাছ না পাই তাহলে দেনাদারদের চাপে ঘর-বাড়ি ছাইরা পলাই থাকতে হইবো।

তুলাতুলি মৎস্য ঘাটের আড়ৎদার মো. আব্দুল বাশার জানান, দীর্ঘ দুই মাস মাছ শিকার বন্ধ থাকায় জেলেদের দাদন ও আড়তদের কর্মচারীদের বসে বসে বেতন দিতে হয়েছেন। এখন জেলেরা নদীতে গিয়ে মাছ শিকার করলে তাদের দুই মাসের লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারবো।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস. এম আজহারুল ইসলাম বলেন, দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা সফল হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে গিয়ে জেলেরা ইলিশ শিকার করতে পারবেন। আর জেলেরা দুই মাসের লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারবেন।

জুয়েল সাহা বিকাশ/আরএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।