সিলেটে দুদিনের মধ্যে শেষ হচ্ছে টিকার মজুত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক সিলেট
প্রকাশিত: ০৪:৩১ পিএম, ১০ মে ২০২১
ফাইল ছবি

সিলেটে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকা কোভিশিল্ডের মজুত দুদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। ফলে সিলেট নগরে টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন এমন প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে নতুনভাবে টিকার চালান না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।

রোববার (৯ মে) পর্যন্ত সিলেট নগরে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে মোট ৫৯ হাজার ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত সিলেট নগরে করোনাভাইরাসের টিকা-কোভিশিল্ডের মজুত রয়েছে মাত্র দুই হাজার ডোজ। কিন্তু প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে তাদের সবার দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করতে আরও ১৫ হাজার ডোজ টিকা লাগবে।

সিলেট নগরে টিকা প্রদানের প্রতিদিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতিদিন এক হাজার থেকে দেড় হাজারের বেশি ডোজ টিকা দেয়া হচ্ছে। সর্বশেষ গত রোববার সিলেট নগরে এক হাজার ১৩৭ জনকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে। এ হারে টিকা দেয়া হলে আগামী দুদিনের মধ্যে মজুত শেষ হয়ে যাবে। এর অর্থ দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন পাবেন না প্রায় ১৫ হাজার মানুষ।

এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, যদি প্রতিদিন এক হাজারের বেশি মানুষকে টিকা দেয়া হয়, তাহলে আগামী ২ দিনের মধ্যে মজুত শেষ হয়ে যাবে। এছাড়া রোববার (৯ মে) টিকা কেন্দ্রে উপস্থিত সব গ্রহীতাকে টিকা দেয়া সম্ভব হয়নি। তাই দেশে নতুন করে টিকা না আসা পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের জন্য নিবন্ধিতদের অপেক্ষায় থাকতে হবে।

তিনি আরও জানান, একটি ভায়ালে ১০টি করে ডোজ থাকে। সে হিসেবে যে পরিমাণ টিকা মজুত রয়েছে তাতে করে সিলেট নগরে আর মাত্র দুই হাজার জনকে টিকা দেয়া যাবে। পুনরায় টিকার চালান না আসা পর্যন্ত প্রথম ডোজ নেয়া প্রায় ১৫ হাজার জনকে দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষমাণ থাকতে হবে।

এদিকে সিলেটের সিভিল সার্জন প্রেমানন্দ মণ্ডল বলেন, সিলেট জেলায় আরও সাত হাজার ডোজ ভ্যাকসিনের মজুত রয়েছে। তা দিয়ে ঈদের আগে পর্যন্ত চালিয়ে নেয়া যাওয়া যাবে। তবে পুনরায় টিকার চালান না আসা পর্যন্ত সিলেটে কী পরিমাণ লোককে দ্বিতীয় ডোজের টিকার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।

ছামির মাহমুদ/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।