প্রয়োজনে সবকটি ফেরি চলবে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মানিকগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৫:৫৭ পিএম, ১০ মে ২০২১
ফাইল ছবি

দিনের বেলায়ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে সবকটি ফেরি চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ঘরমুখো মানুষ ও পরিবহন শ্রমিকদের দুর্ভোগ লাঘবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (১০ মে) বিকেলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা অঞ্চলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. জিল্লুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, ঘরমুখো মানুষ ও পরিবহন শ্রমিকদের দুর্ভোগ লাঘবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। প্রয়োজন হলে সবকটি ফেরি চলাচল করবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পযর্ন্ত এই পারাপার অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছে মানুষ। পথে পথে চেকপোস্ট থাকার পরও বিভিন্ন যানে ভেঙে ভেঙে ফেরি ঘাটে ভিড় করছেন তারা। গত কয়েক দিনের তুলনায় সোমবার মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ ছিল সবচেয়ে বেশি।

লাশ অথবা রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে হুড়োহুড়ি করে ফেরিতে পারাপার হচ্ছেন তারা। অ্যাম্বুলেন্স না আসা পযর্ন্ত কোনো ফেরি না চলায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের। প্রচণ্ড রোদ ও গরমে নারী-শিশু যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে। একই সঙ্গে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পণ্যবাহী যানবাহনের শ্রমিকদের। কারণ রাত ছাড়া তারা ঘাট পার হতে পারছেন না। এই অবস্থায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন ধরে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে রাতের বেলা জরুরি মালামালবোঝাই যানবাহন পারাপারের জন্য সবকটি ফেরি চলাচল করলেও দিনের বেলা রোরো ফেরি বন্ধ থাকছে। দিনে শুধু ছোট ফেরি দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা হয়। ঘাটে আসা যাত্রীরা সেই ফেরিতেই করে নদী পার হয়ে আসছিলেন।

এদিকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করে দেয়া হয়েছে। ঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই রুট দিয়ে সব ধরনের ফেরি চলাচল করবে।

বি.এম খোরশেদ/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।