মৌলভীবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে করোনাভীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি
করোনাকে উপেক্ষা করে মৌলভীবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নেমেছে মানুষের ঢল। এসময় মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি। এদিকে বন্ধ থাকা পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারায় অনেক পর্যটক ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
হাজার মানুষের পদচারণায় মুখর মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের, বধ্যভূমি ৭১, ফাইভ স্টার হোটেল গ্র্যান্ড সুলতানসহ জেলার কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, বড়লেখা উপজেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রের আশপাশের এলাকা।
এদিকে পর্যটন এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে দিয়ে অভিযানে নেমেছে পুলিশ ও প্রশাসন। জোরদার করা হয়েছে পুলিশি টহল।
চা বাগান এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মানুষজন ভিড় করেছেন। বাগানে এলাকায় ঘুরতে ঘুরতে আসা লোকজন একেবারে গাদাগাদি করে আছেন।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক মোর্শেদ বলেন, সব কিছুই খোলা রয়েছে। শুধু বিনোদনের স্থানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা কষ্ট করে এসে আনন্দ করতে পারলাম না।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান প্রবেশপথ বন্ধ থাকলেও উদ্যানের ভেতরের কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়ক আর মাধবপুর চা বাগান লেকসহ বিভিন্ন চা বাগানে উপচে পড়া ভিড় রয়েছে পর্যটকদের। এদিকে মাধবপুর লেক এলাকায় দেখা গেছে মানুষের ভিড়।
একইঅবস্থা ধলই চা বাগান, বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান স্মৃতি সৌধ এলাকা, শমশেরনগর চা বাগানের লেক, শমশেরনগর চা বাগান গলফ মাঠ, ফুলবাড়ি চা বাগানসহ বিভিন্ন চা বাগানের পাহাড়ি উঁচু-নিচু এলাকায় সব বয়সী পর্যটকদের ঘোরাঘুরি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে আসা পর্যটক শাহনাজ মণি বলেন, ঈদের ছুটিতে সন্তানদের অনুরোধে সবাইকে নিয়ে মাধবপুর লেকে বেড়াতে এসেছেন।
শনিবার (১৫ মে) বিকেলে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উদ্যানের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ থাকায় ও নিরাপত্তাকর্মীদের সতর্কতায় কোনো পর্যটক ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি।
তবে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকরা উদ্যানের বাইরে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের পাহাড়ি এলাকায় ঘোরাঘুরি করছেন। বেশ কয়েকটি পিকআপে মাইক লাগিয়ে নাচ-গানও করতে দেখা যায় কিছু পর্যটককে। এসময় প্রায় ৮০ শতাংশ পর্যটকের মুখে ছিল না মাস্ক।
চা বাগান সূত্রে জানা যায়, সকালের দিকে একবার পুলিশ এসে লেকে আসা কম পর্যটকদের তাড়িয়ে দেয়। তবে দুপুরের পর উপস্থিতি আবার বেড়ে যায়।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের প্রশাসনিক সহকারী আফজালুল হক জানান, আগত পর্যটকদের আটকাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মৌলভীবাজারের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, করোনার কারণে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া বনকর্মী, কমিউনিটি পেট্রোলিং সদস্যরা কড়া টহলে থাকায় উদ্যানে কোনো পর্যটক প্রবেশ করতে পারেননি।
এসএমএম/জেআইএম