জাগো নিউজের সংবাদে কমিশন থেকে বাঁচলেন লিচু চাষিরা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নাটোর
প্রকাশিত: ০১:৪৩ পিএম, ১৭ মে ২০২১

অবশেষে ইজারা দেয়া হলো নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বেড়গঙ্গারামপুর লিচু আড়ত। মোট ৯ লাখ টাকায় ইজারা নিয়েছেন স্থানীয় মাহাবুব হোসেন নামে এক আড়ত মালিক।

এখন থেকে লিচু বাগান মালিক ও চাষিদের আর কোনো কমিশনের টাকা দিতে হবে না। তবে যারা লিচু ক্রয় করবেন তাদেরকে প্লাস্টিকের ক্যারেট প্রতি ৫ টাকা, বড় ঝুড়ি ২০ টাকা এবং ছোট ঝুড়ি প্রতি ১০ টাকা ইজারা দিতে হবে।

সোমবার (১৭ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুরুদাসপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার আবু রাসেল।

লিচুর রাজধানী হিসেবে পরিচিত নাটোরের গুরুদাসপুরে উৎপাদিত লিচু নিয়ে গত ২০ বছর ধরে বেড়গঙ্গারামপুর লিচু আড়ত পরিচালনা হয়ে আসছে। কিন্তু ব্যক্তি মালিকানার জায়গার ওপর আড়ত প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এতদিন স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ইজারা দিতে পারেনি।

এ সুযোগে বেড়গঙ্গারামপুর লিচু আড়ত মালিক সমিতি কমিশনের নামে ১০০ লিচু বিক্রয়ের ওপর বাগান মালিকদের কাছ থেকে ৮ টাকা, পাইকারি ক্রেতাদের কাছ থেকে ৪ টাকা এবং ঝুড়ি প্রতি ৫ টাকা করে আদায় করে আসছিল। এতে করে কৃষকের লাভের টাকা পকেটে ঢুকতো আড়ত মালিকদের পকেটে।

রোববার (১৬ মে) পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা লিচু ব্যবসায়ী, আড়তদার ও লিচু বাগান মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় প্রতি ১০০ লিচুতে উচ্চহারে কমিশন আদায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে যোক্তিকহারে ইজারা আদায়ের নির্দেশ দেন। না হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন।

এদিকে বেড়গঙ্গারামপুর লিচু আড়তে কমিশনের বিষয়টি নিয়ে ‘একশ লিচু বেচা-কেনায় কমিশন ১৭ টাকা!’ শিরোনামে অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কম-এ সংবাদ প্রকাশিত হয়।

বিষয়টি নজরে আনলে জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ জানান, তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। তার নির্দেশে বেড়গঙ্গারামপুর লিচু আড়ত এলাকায় খাস জমি চিহ্নিত করা হয়। পরে হাট বাজার ইজারা নীতিমালা অনুযায়ী সোমবার দুপুরে উন্মুক্ত ইজারা ঘোষণা করেন গুরুদাসপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার আবু রাসেল।

এ সময় আগামী দুমাসের জন্য ৭ লাখ ৬০ টাকায় লিজ গ্রহণ করেন স্থানীয় মাহাবুব হোসেন নামের এক আড়ত মালিক। এ ছাড়া ২০ শতাংশ ভ্যাট ধরে মোট ৯ লাখ টাকায় ইজারা দেয়া হয়। এতে করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন লিচু বাগান মালিকরা।

রেজাউল করিম রেজা/এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।