পিরোজপুরে ছাদ বাগানে সফল কলেজশিক্ষক জাহাঙ্গীর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পিরোজপুর
প্রকাশিত: ১১:৪২ এএম, ০৫ জুন ২০২১

দিন দিন ছোট হয়ে আসছে চাষাবাদের জায়গা। মানুষ গাছ লাগাবে বর্তমানে এমন জায়গা পাওয়া দুষ্কর। দেশে তাই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ছাদ বাগান। এ ছাদবাগান করে সফল হয়েছেন পিরোজপুর সদর উপজেলার মধ্যরাস্তা এলাকার কলেজশিক্ষক কাজী জাহাঙ্গীর আলম।

আগে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ছাদে শুধুমাত্র ফুল গাছ লাগানো হলেও এখন এরমধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই এ ছাদবাগান। ছাদে উৎপাদিত হচ্ছে প্রয়োজনীয় শাকসবজি ও ফলমূল। ছাদে উৎপাদিত এ ফসল নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করতে পারছেন অনেকে। দেশের অথনীতিতেও কমবেশি ভূমিকা রাখছে এ বাগান। এতদিন শুধু শহরের মানুষ ছাদ বাগান করলেও এখন শহরের সীমানা পেরিয়ে গ্রামের মানুষও ছাদে গাছ লাগানোর শুরু করেছেন। অনেকেই দেখছেন সফলতার মুখ।

jagonews24

তেমনই মধ্যরাস্তা এলাকার কাজী জাহাঙ্গীর নিজের একতলা ভবনের ছাদে গড়ে তুলেছেন শখের ছাদ বাগান। মূলত প্রকৃতি প্রেম থেকে তিনি গড়ে তোলেন এ বাগান। এখানে উৎপাদিত শাকসবজি ও ফল তার পরিবারের চাহিদা মেটাচ্ছেন। কিছু কিছু ফল ও শাকসবজি স্বজন ও প্রতিবেশীদেরও দিচ্ছেন তিনি।

কাজী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বাগান করার ইচ্ছা আমার ছোটবেলা থেকেই। তাই নিজের বাড়ির ছাদেই শুরু করি গাছ লাগানো। আমার ছাদ বাগানে ওষুধি গাছ থেকে শুরু করে অনেক প্রকার গাছ রয়েছে। আমার ছোট পরিবারের চাহিদা মেটে এ ছাদ বাগান থেকে’।

jagonews24

তিনি আরও বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ নাহলে ও পর্যাপ্ত আলো-বাতাস তাকলে ছাদ বাগানে গাছপালা নষ্টের ঝুঁকি অনেক কম। আর নিয়মিত পরিচর্যা আর যত্ন নিলে ফলনও ভালো হয়’।

তার দাবি, যাদের বাড়িতে ছাদ রয়েছে প্রত্যেকেরই অন্তত নিজের পরিবারকে নিরাপদ খাদ্যের ব্যবস্থা করতে ছাদ বাগান করা উচিত। এতে নিজেরাও পুষ্টিকর, টাটকা শাক-সবজি ও ফলমূল খেতে পারবেন আবার বাণিজ্যিকভাবে বিক্রয়ও করতে পারবেন।

jagonews24

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পিরোজপুর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক চিন্ময় রায় বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে পিরোজপুরে বাড়ির ছাদে বাগান করে শাকসবজির ও ফল চাষে আগ্রহ বাড়ছে। পরিকল্পিতভাবে এসকল বাগান করা হলে এটি প্রাত্যাহিক শাকসবজির চাহিদা মিটিয়ে পরিবেশ রক্ষায়ও দারুণ ভূমিকা রাখবে’।

এসএমএম/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।