পাহাড়ধস শঙ্কা : প্রাণহানি এড়াতে রাঙ্গামাটিতে প্রশাসনের মাইকিং
টানা কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে পাহাড়ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে রাঙ্গামাটিতে। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলেছে প্রশাসন।
শনিবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে এ বিষয়ে প্রচারণা চালানো হয়।
প্রশাসনের নির্দেশনায় বলা হয়, ভারি বৃষ্টি হলেই যেন স্থানীয়রা যেন দ্রুত পার্শ্ববর্তী আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেন। একই সঙ্গে পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বসতঘর সরিয়ে নিরাপদ স্থানে বসবাসের জন্যও অনুরোধ জানানো হয়। সবাইকে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে বিরত থাকা এবং কেউ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করলে জেলা প্রশাসনকে জানানোর অনুরোধও করা হয় মাইকিংয়ে।
গত ১৭ মে রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ধসে প্রাণহানি রোধে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে সাইনবোর্ড স্থাপন এবং স্থানীয়দের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে লিফলেট বিতরণ করা হয়। পাহাড়ধসের ঝুঁকিপ্রবণ শহরের শিমুলতলী, রূপনগর পাড়া এলাকা, মনতলা এবং যুব উন্নয়ন এলাকায় সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড বসানো হয়েছে।

এ বিষয়ে রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, টানা কয়েকদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। প্রস্তুতি হিসেবে শহরে বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে একই সঙ্গে শহরে ৩৫টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা রয়েছে। ১০টি উপজেলায়ও একই কার্যক্রম চলছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা কয়েকদিন আগে শহরের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিচ্ছি। সবাইকে সচেতন করার কাজ করছি। যাতে সবাই নিরাপদ স্থানে সরে যেতে পারে।
২০১৭ সালের ১৩ জুন রাঙ্গামাটিতে ব্যাপক পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। এতে ১২০ জন নিহত ও দুই শতাধিক মানুষ আহত হন। এছাড়া জেলায় ব্যাপক ঘরবাড়ি, গৃহপালিত পশু ও ফসলের ক্ষতি হয়।
শংকর হোড়/এসএস