শেখ তন্ময়ের উদ্যোগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ
![শেখ তন্ময়ের উদ্যোগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/bagerhat-corona-photo-2-20210615154313.jpg)
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে মোংলাসহ বাগেরহাটের সর্বত্র। এ অবস্থায় সেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনার নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়েছে বাগেরহাটের-২ আসনের এমপি শেখ সারহার নাসের তন্ময়ের উদ্যোগে। মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকাল থেকে ২টি গাড়ির মাধ্যমে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনার নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন।
‘হটলাইনে ফোন করি নমুনা সংগ্রহকারী যাবে আপনার বাড়ি’ শ্লোগানকে সামনে রেখে দুটি হটলাইন নম্বরে (০১৯২০-৯২২২২৯ ও ০১৪০০-৩০৫৪০৫) ফোন পেয়েই প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীরা গাড়িতে করে দ্রুত ছুটে যাচ্ছেন করোনার উপসর্গ থাকা লোকজনের বাড়িতে।
সকালে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে এই কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক, সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূইয়া হেমায়েত উদ্দিন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. মোশোররফ হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্ধোধনের পরপরই বাগেরহাটের করোনার হটস্পট মোংলা, রামপাল, শারখোলা, মোরেলগঞ্জ ও সদর উপজেলায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনার নমুনা সংগ্রহ শুরু করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে বাগেরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মত্যু হয়েছে একজনের। জেলায় সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ৪০ শতাংশে। তিন সপ্তাহের চলমান কঠোর বিধিনিষেধের ২০তম দিনে এসেও কমছে না মোংলায় কনোরা আক্রান্তের সংখ্যা। মঙ্গলবার মোংলায় র্যাপিট অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় নতুন করে সাতজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মোংলায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্যমতে, জেলায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ৩৩৮ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের। বর্তমানে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৪ জন, বাকিরা হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, এমপি শেখ তন্ময়ের উদ্যোগে স্বাস্থ্য বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে র্যাপিট অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে জেলায় করোনার ঊর্ধ্বগতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।
শওকত আলী বাবু/ইএ/এমকেএইচ