চুয়াডাঙ্গায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ
চুয়াডাঙ্গায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় আরও ৫৯ জনের করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ। এছাড়া রোববার (২০ জুন) রাতে জেলার জীবননগর উপজেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে সুমন নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২১ জুন) সকালে চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮৩ জনের। এদেরমধ্যে জেলায় ৭৪ জন ও জেলার বাইরে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, আক্রান্তদের মধ্যে মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ১৮ জন, দামুড়হুদায় ৯ জন, আলমডাঙ্গায় ১৫ জন ও জীবননগরে ১৭ জন রয়েছেন।
এ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৬৫০ জন। এদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জন সুস্থ হয়েছেন। আর মোট সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৭৯ জন। বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৫৮৮ জন। এদের মধ্যে হোম আইসোলেশনে আছেন ৫৩১ জন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৫৩ জন ও রেফার্ড আছে চারজন।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছেন ১৯৯ জন। এদের মধ্যে বাড়িতে রয়েছেন ১৭৫ জন। আর হাসপাতালে ২০ জন ও রেফার্ড রয়েছেন একজন। আলমজাঙ্গায় সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৭০ জন। এদের মধ্যে নিজ বাড়িতে রয়েছেন ৬৩ জন। হাসপাতালে রয়েছেন ছয়জন ও রেফার্ড রয়েছেন একজন।
দামুড়হুদা উপজেলায় সক্রিয় রোগী রয়েছেন ২০৮ জন। এদের মধ্যে বাড়িতে রয়েছেন ১৮৯ জন। হাসপাতালে রয়েছেন ১৭ জন ও রেফার্ড রয়েছেন দুজন। জীবননগরে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১১১ জন। এদের মধ্যে বাড়িতে রয়েছেন ১০৪ জন ও হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছেন সাতজন।
এছাড়া ক্রমাগত করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় রোববার (২০ জুন) সকাল ৬টা থেকে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাসহ সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নে সাতদিনের জন্য কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। এর আগে শনিবার বিকেল ৪টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, চুয়াডাঙ্গায় আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সকলে দায়িত্বশীল হওয়া এখন খুবই জরুরি।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান বলেন, প্রশাসনের বেধে দেয়া স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জেলায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে।
সালাউদ্দীন কাজল/এসএমএম/জিকেএস