বগুড়ায় বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া
প্রকাশিত: ০৭:১১ পিএম, ২৫ জুন ২০২১

করোনা সংক্রমণরোধে বগুড়ায় চলমান বিধিনিষেধের সময়সীমা আরও এক সপ্তাহ বাড়ল। শুক্রবার (২৫ জুন) বিকেলে এ ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক।

শনিবার (২৬ জুন) প্রথম দফার সাতদিনের বিধিনিষেধ শেষে ওইদিন থেকেই আবারো সাত দিনের বিধিনিষেধ শুরু হবে বগুড়া পৌর ও সদর উপজেলা এলাকায়।

করোনা সংক্রমণরোধে গত ২০ জুন থেকে বগুড়া জেলা সদরে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। এতে বন্ধ রয়েছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, শপিংমলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। শুধু ওষুধের দোকান, খাবারের দোকানসহ জরুরি সেবা বিধিনিষেধের আওতাভুক্ত রয়েছে।

অপরদিকে বিধি-নিষেধের আওতায় বগুড়া পৌরসভা ও সদর উপজেলার ২৫টি হাট-বাজার উন্মুক্ত স্থানে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাতে জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী শহরের ফতেহ আলী, রাজা বাজার ও রেললাইন বাজার বসবে সার্কিট হাউসের মোড় থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস সমিতি ও জিলা স্কুল গেট পর্যন্ত রাস্তার পাশ দিয়ে। বকশী বাজার এমএস ক্লাব মাঠে, কলোনী বাজার মূক ও বধির স্কুল মাঠে, কালিতলা বাজার করোনেশন স্কুল মাঠে, খান্দার বাজার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের সামনে, গোদারপাড়া বাজার জাহিদুর রহমান মহিলা কলেজ মাঠে, কলেজ বাজার স্থানান্তরিত হয়ে সরকারি আজিজুল হক কলেজ (উচ্চ মাধ্যমিক ভবন) মাঠে, চাষিবাজার (খুচরা) নওয়াববাড়ী রোডে, সেউজগাড়ী বাজার রেলওয়ে স্টেশনের সামনে আমবাগানে বাজার বসবে। একইভাবে পৌর এলাকা ও সদর উপজেলার বাজারগুলো পাশে ফাঁকা মাঠে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক জানান, পৌর ও সদর উপজেলার সব কাঁচাবাজার আগামী ২৬ জুনের মধ্যে উন্মুক্ত স্থানে স্থানান্তর করতে হবে। ক্রেতা ও বিক্রেতাকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।

করোনার বিস্তার রোধকল্পে সর্বাত্মক বিধিনিষেধ যতদিন আরোপিত থাকবে ততদিন পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে। এসময় নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ডিসি।

এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।