সাতক্ষীরা মেডিকেলের করোনা ইউনিটে আরও ৮ জনের মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ০২:৪১ পিএম, ২৭ জুন ২০২১
ফাইল ছবি

সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ছয়দিনের ব্যবধানে এ হাসপাতালে করোনায় ছয়জন ও উপসর্গে ৪৫ জনের মুত্যু হয়েছে।

এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় ১৬৫টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৭২ শতাংশ।

রোববার (২৭ জুন) সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ও জেলা করোনা বিষয়ক তথ্য কর্মকর্তা ডা. জয়ন্ত কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, করোনায় মৃত আটজন করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ১৩ জুন-২৬ জুনের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে সামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ জুন ভোর সোয়া ৫টা থেকে রাত সোয়া ১১টার মধ্যে বিভিন্ন সময়ে তাদের মৃত্যু হয়।

এদিকে সামেক হাসপাতালে ২৬ জুন করোনা উপসর্গে ৯ জন, ২৫ জুন করোনায় একজন ও উপসর্গে সাতজন, ২৪ জুন উপসর্গে ৯ জন, ২৩ জুন চারজন করোনায় ও উপসর্গে চারজন এবং ২২ জুন একজন করোনায় ও উপসর্গে আটজন মারা যান।

অন্যদিকে, জেলায় রোববার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৬২ জন। আর জেলায় করোনায় ৬৬ জন ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৩২১ জন।

এছাড়া সাতক্ষীরায় ফের বেড়েছে করোনা সংক্রমণের হার।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জেলা করোনা বিষয়ক তথ্য কর্মকর্তা ডা. জয়ন্ত কুমার সরকার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ১৬৫টি নমুনা পরীক্ষায় আরও ৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এদিন শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৭২ শতাংশ। এর আগের দিন এ হার ছিল ২৭ দশমিক ৯ শতাংশ।

তিনি আরো বলেন, রোববার পর্যন্ত সাতক্ষীরায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮৬২ জন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪৪ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ২৭ জন ও বেসকারি হাসপাতালে ১৭ জন ভর্তি রয়েছেন। আর বাড়িতে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৮১৮ জন। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালে উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১২৮ জন। আর জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৬ জন।

আহসানুর রহমান রাজীব/এসএমএম/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।