জনবল-যন্ত্রপাতি না থাকায় চালু হচ্ছে না পটুয়াখালীর পিসিআর ল্যাব
অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হলেও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং জনবল না থাকায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে আরটি-পিসিআর ল্যাব দুই মাসেও চালু হয়নি। ফলে করোনা পরীক্ষার ফলাফল পেতে বিলম্ব হচ্ছে। ফলাফল পেতে তিন থেকে পাঁচদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে রোগীদের। এ কারণে দ্রুত পিসিআর ল্যাব চালুর দাবি জানানো হয়েছে।
গত বছরের শুরুর দিকে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর থেকেই পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য বিভিন্ন মহল থেকে দাবি তোলা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরের শুরুতে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের তত্ত্বাবধানে আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজ শুরু হয়। এপ্রিল মাসে অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হয়েছে। এতে ব্যয় হয় ৩২ লাখ টাকা।
জানতে চাইলে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ জানান, আরপি-পিসিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য বেশ কয়েকটি সুরক্ষিত রুম তৈরি, টাইলস লাগানোসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক এসি স্থাপন এবং যাবতীয় কাজ শেষ করা হয়েছে। এখন পরবর্তী কাজগুলো স্বাস্থ্য অধিদফতর করবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ল্যাব পরিচালনার জন্য আটজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, চারজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, চারজন অফিস সহায়ক এবং চারজন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর চাহিদার কথা জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে বেশ কয়েকবার চিঠি দিয়েছে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে এখনো প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিয়োগ দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, জনবলের চাহিদার বিষয়ে গত ৩০ মে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছে। এরপর গত ১৯ জুন পরিচালক স্বাস্থ্য (বরিশাল বিভাগ) বরাবর পুনরায় চিঠি দেয়া হয়। সর্বশেষ গত ৩০ জুন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব বরাবর চিঠি দিয়ে তাকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। তবে এসব চিঠির কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে পটুয়াখালীতে আরটি-পিসিআর ল্যাব চালু না করায় এখনো করোনা পরীক্ষার ফলাফল পেতে তিন থেকে পাঁচ দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে রোগীদের। এই অবস্থায় অ্যান্টিজেন টেস্ট এবং জিন-এক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা করে বিদ্যমান পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম।
সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশের ন্যায় পটুয়াখালীতেও হু হু করে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। আর করোনায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়ে ৫৯ জন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
এসআর/জিকেএস
