চিকিৎসক পরিচয়ে শতাধিক মেয়ের সঙ্গে চ্যাটিং, অবশেষে ধরা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মানিকগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৫:৪৯ পিএম, ১৯ জুলাই ২০২১

ফেসবুক প্রোফাইলে তার পরিচয় একজন এমবিবিএস চিকিৎসক। একই সঙ্গে একটি ফাইভস্টার হোটেলের মালিকও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ পরিচয় উল্লেখ করে প্রথমে নারীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতেন আতাউর রহমান (২৫)। এরপর প্রেমের ফাঁদে ফেলে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে হাতিয়ে নিতেন টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার।

অবশেষে এ প্রতারক ধরা পড়েছেন পুলিশের হাতে। মানিকগঞ্জের এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (১৯ জুলাই) দুপুরে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আতাউর রহমানকে আদালতে পাঠালে মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গ্রেফতার আতাউর রহমানের বাড়ি কক্সবাজার জেলার মহেষখালী উপজেলার জামালপাড়া গ্রামে। তার ফেসবুক আইডিতে নাম এস এম আতাউর রহমান (অপূর্ণ)।

মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আতাউর রহমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে চিকিৎসক ও একটি ফাইভস্টার হোটেলের মালিক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নারীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে প্রথমে ফেসবুকে রিকোয়েস্ট পাঠান। ওই শিক্ষার্থী রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করার পর থেকেই তার সঙ্গে নিয়মিত ম্যাসেঞ্জারে চ্যাটিং শুরু করেন। বন্ধুত্ব গড়ে তুলে আতাউর রহমান মানিকগঞ্জে বেশ কয়েকবার বেড়াতেও আসেন। প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার কাছ থেকে হাতিয়ে নেন একটি স্বর্ণের ব্রেসলেট।

jagonews24

রোববার (১৮ জুলাই) আতাউর মানিকগঞ্জে এসে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে ঘুরতে বের হন। শহরের নাগীনা কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে কৌশলে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করেন। এসময় তার কুমতলব বুঝতে পেরে মেয়েটি চিৎকার করলে স্থানীয়রা এসে তাকে ধরে ফেলে। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ওই শিক্ষার্থী এ ঘটনায় থানায় মামলা করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা আরও বলেন, আতাউরের মোবাইল ফোন ঘেঁটে দেখা গেছে সে প্রায় ১০০ নারীর সঙ্গে নিয়মিত চ্যাটিং করতেন। তাদের অনেকের সঙ্গেই প্রেমের ফাঁদে ফেলে অথবা বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। হাতিয়ে নেন টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আতাউর রহমান জানিয়েছেন, তিনি এমবিবিএস চিকিৎসক অথবা হোটেল মালিক কোনোটিই নন। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগে লেখাপড়া করছেন। তার এই পরিচয়টিও আসল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

বি.এম খোরশেদ/আরএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।