শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঝালকাঠির পশুর হাট

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: ০৬:০৬ পিএম, ১৯ জুলাই ২০২১

ঝালকাঠিতে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুরহাট। ঈদের দু’দিন আগে জেলার হাটগুলোতে ক্রেতাদের ব্যাপক সমাগম দেখে গেছে। তবে প্রত্যাশিত দাম না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন খামারি ও ব্যাপারীরা। ফলে অনেকে বিক্রি না করে গরু ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

ঝালকাঠি পৌর শহরের সবচেয়ে বড় পশুর হাট ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গির স্টেডিয়ামে সোমবার দুপুরে ও রাজাপুর উপজেলার বাগড়ি হাটে রোববার বিকেলে ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়েছে।

জানা গেছে, জেলার নিয়মিত ২২টি হাটের পাশাপাশি ঈদুল আজহা উপলক্ষে আরও ১৫টি পশুহাটের অনুমোদন দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এবার প্রায় পৌনে নয় হাজার গরু বিক্রির জন্য হাটে তোলা হয়েছে।

এছাড়াও পশুর হাটে খুলনা অঞ্চলের চিতলমারি থেকে কয়েক হাজার গরু-ছাগল নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। হাটগুলোতে সর্বনিম্ন ৪০ হাজার থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা দামের গরু দেখা গেছে। তবে কোনো ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ ঘটেনি।

jagonews24

গরু ব্যবসায়ী চুন্নু, শাহজাদা হাওলাদারসহ কয়েকজনে জানিয়েছে, হাটে ক্রেতা আসলেও গরুর দাম কম বলছে। সেই দামে বিক্রি করলে তাদের কোনো মুনাফা থাকবে না। করোনা পরিস্থিতির কারণে অন্যান্য সময়ের চেয়ে ক্রেতা কম থাকায় এ বছর গরুর দাম কমে যাওয়া বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

ঝালকাঠি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. ছাহেব আলী জানান, জেলায় ১৬৩৮টি খামার থেকে মোটাতাজাকরণ ৮ হাজার ৬৫০টি গরু ও ২৮৬টি ছাগল কোরবানির পশুরহাটে বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছে খামারিরা। এছাড়াও পশুর হাটে বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা আসছেন কোরবানির পশু বিক্রি করতে। আমাদের টিম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে। স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে খেয়াল রাখছে।

ঝালাকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নেজারত ডেপুটি কালেক্টর আহমেদ হাসান জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা ও উপজেলায় পশুর হাটগুলোতে স্বাস্থবিধি মেনে চলার জন্য মনিটরিং করা হচ্ছে। এছাড়াও ক্রেতা-বিক্রেতাদের কোথাও যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সেজন্যও প্রশাসন তৎপর রয়েছে।

মো. আতিকুর রহমান/এএএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।