লকডাউনের মধ্যেই কেউ যাচ্ছেন শ্বশুরবাড়ি, কেউ ফুফুর বাড়ি!
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী চলছে কঠোর লকডাউন। প্রথম দিন (শুক্রবার) থেকেই মাঠে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। মুহুর্মুহু ঘোষণা আর কড়াকড়ি সত্ত্বেও মানিকগঞ্জে বাইরে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষকে।
কেউ সপরিবারে যাচ্ছেন শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে। কেউবা যাচ্ছেন কোরবানির মাংস নিয়ে ফুফুর বাড়ি, আবার কেউ বোনের বাড়ি। অনেককেই দেখা গেছে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ঘুরে বেড়াতে।
লকডাউনের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ঘুরতে বের হওয়া এমন কয়েকজনকে জরিমানা করেছেন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল ইসলাম। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তিনি ২২টি মামলায় ১৪ হাজার ৪০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
এ বিষয়ে ইউএনও নাজমুল জাগো নিউজকে বলেন, ‘শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘিওর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।’
‘একজনকে দেখা গেলো লকডাউনের মধ্যেই তিনি স্ত্রী-সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছেন। তাকে ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কেউ যাচ্ছেন বোনের বাড়ি কিংবা ফুফুর বাড়ি। কেউ আবার শ্বশুরবাড়িতে বেড়ানো শেষে নিজ বাড়িতে ফিরছেন। সড়কে এমন মানুষের সংখ্যাই বেশি। যারা ঈদের পর আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছেন অথবা ঘুরতে বের হয়েছেন।’
ইউএনও আরও বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে তারা বেড়াতে বা ঘুরতে বের হওয়ার কথা অকপটে স্বীকারও করেন। পরে তাদের প্রত্যেককে জরিমানা করা হয়। এছাড়া বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে দোকান খোলা রাখার দায়ে জরিমানা করা হয়েছে কয়েকজন দোকানদারকেও। এদিন সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড করা হয়।’
সচেতনতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘করোনায় প্রতিদিন বহু মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। আক্রান্ত হচ্ছে শত শত মানুষ। কিন্তু তারপরও সচেতনতা নেই বেশিরভাগ মানুষের মাঝে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারেও অনেকে উদাসীন। এ অবস্থা চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।’
লকডাউন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
বি.এম খোরশেদ/এসএস/জিকেএস