গোরস্থানে দানের টাকা না দেয়ায় পরিবার সমাজচ্যুত!
নাটোরের বড়াইগ্রামে আটঘরি মোলাপাড়া এলাকায় গোরস্থানের জন্য নির্ধারিত অনুদানের ৮ হাজার টাকার মধ্যে ২ হাজার টাকা বকেয়া রাখায় সমাজচ্যুত করা হয়েছে একটি পরিবারকে।
এর জেরে ওই পারিবারকে ঈদুল আজহার দিনে গরু কোরবানি দিতে সহযোগিতা প্রদানে নিষেধাজ্ঞা, স্থানীয় মসজিদ থেকে তাদের দানকৃত মাইক খুলে ফেলা এবং তাদের কৃষি জমিতে শ্রমিকদের কাজ করতে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ঈদের ৩ দিন আগে মোলাপাড়ার ওসমান সরদারের ছেলে কলেজছাত্র জিহাদ আহমেদকে সমাজপতিরা গোরস্থানের উন্নয়নের জন্য টাকা দিতে বলেন। এ সময় ২ হাজার টাকা বকেয়া রাখায় তাদের মাঝে কিছুটা বাগবিতণ্ডা হয়। এরই জের ধরে ওসমান সরদারের পরিবারকে সমাজচ্যুত করার ঘোষণা দেন জমিন মৃধা, আসমান সরকার, জালাল প্রামাণিক, শাজাহান আলী, রেজাউল করিম, শাহাদ মন্ডল ও সাইদুর সরকার।
অভিযোগকারী ওসমান সরদার জানান, তাদের নিষেধাজ্ঞার কারণে ঈদের দিন গরু কোরবানির জন্য কেউ আসেনি। পাশের গ্রাম থেকে মৌলভী ও কিছু লোক এনে কোরবানির কাজ করা হয়েছে।
তবে জামিন মৃধা জানান, সাময়িক ভুল বোঝাবুঝিতে এমন ঘটনা ঘটেছে। ওসমান সরদার ঢাকায় আছেন। তিনি এলাকায় এসে একত্রে বসলে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।
বড়াইগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক রবিউল ইসলাম জানান, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘটনাটি খুবই তুচ্ছ। সমাজপতিদের সঙ্গে এ বিষয়ে খোলামেলা কথা হয়েছে। তারা নিষেধাজ্ঞার অভিযোগ সত্য নয় বলে জানিয়েছেন। শ্রমিকরা ওসমান সরদারের জমিতে কাজ করতে পারবে। এছাড়া মাইক যেহেতু তিনি মসজিদে দান করেছেন, তা মসজিদেরই সম্পদ হিসেবে থেকে যাবে। ঈদে কোরবানির বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত।’
রেজাউল করিম রেজা/এমএইচআর/জিকেএস