আসামি এক রাজ্জাক, গ্রেফতার অন্য রাজ্জাক
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে চুরির মামলার প্রকৃত আসামিকে না ধরে একই নামে অপর এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২৩ আগস্ট) রাত ১০টার সময় বালিয়াডাঙ্গী প্রেস ক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন গ্রেফতার ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী রুপসানা আকতার।
তার স্ত্রীর অভিযোগ, সোমবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী বাজার থেকে স্বামীর দোকান থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় সাদা পোশাকের কয়েকজন পুলিশ সদস্য। পরে বালিয়াডাঙ্গী থানায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তার স্বামীর নামে চুরির মামলা রয়েছে। মামলার কাগজপত্র দেখতে চাইলে তাদের ঠাকুরগাঁও আদালতে গিয়ে খোঁজ নিতে বলা হয়।
তিনি আরও জানান, সোমবার বিকেলে আদালতে মামলার কাগজপত্র দেখে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৬ জুন রানীশংকৈল থানায় বাইসাইকেল চুরির একটি মামলায় তার স্বামীকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। কিন্তু মামলার প্রকৃত আসামি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের জিয়াখোর গ্রামের তসলীম উদ্দীন ওরফে বুধু মোহাম্মদের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক। তিনি নেকমরদ বাজারে বাইসাইকেল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ১০ বছর পর ওই আব্দুর রাজ্জাকের জায়গায় তার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলার কাগজপত্র থেকে জানা যায়, ২০১১ সালে আব্দুর রাজ্জাক নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। তখন ওই আসামির বয়স ছিলো ৩৫ বছর। সেই অনুযায়ী ২০২১ সালে তার বয়স হওয়ার কথা ৪৫ বছর। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী গ্রেফতার হওয়া ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাকের বয়স ৩৩ বছর।
সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বাবা আলিম উদ্দীন ওরফে বৈশাখু জানান, তার ছেলে বালিয়াডাঙ্গী বাজারের মেইন রোডে দীর্ঘদিন ধরে মুদি ও মুড়ির ব্যবসা করছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল হক প্রধান মোবাইল ফোনে জানান, সঠিক আসামিকেই গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার পর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যাবে।
তানভীর হাসান তানু/ এফআরএম/এএসএম