সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কার না করায় ভোগান্তিতে লক্ষাধিক মানুষ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জামালপুর
প্রকাশিত: ১০:০৮ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২১

বন্যায় ভেঙে যাওয়া সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কার না করায় এক বছর ধরে দুর্ভোগে শিকার হচ্ছেন জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নসহ আশপাশের লক্ষাধিক মানুষ।

অথচ, এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তাহের জামালপুর জেলা ও ময়মনসিংহ বিভাগের শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

jagonews24

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ঝারকাটা ঝিনাই নদীর ওপর নির্মিত শিশুয়া-বাঘমারা সেতুর পশ্চিম অংশের সংযোগ সড়কটি ভেঙে গেছে। এতে উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের ২০ গ্রামসহ পাশের মাদারগঞ্জ, বগুড়ার সারিয়াকাদি, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগের অন্ত নেই। বাঁশের সাঁকো তৈরি করে ব্রিজ পার হলেও যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

jagonews24

স্থানীয় রবিউল ইসলাম, মালেক, জাহাঙ্গীরসহ অনেকে অভিযোগ করেন, এ রাস্তায় প্রতিদিন ছোট-খাটো যানবাহনসহ হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন। কিন্তু ব্রিজের গার্ডারের মাটি সরে গিয়ে সেতুটি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এ অবস্থায় যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।

jagonews24

ভুক্তভোগী মোমিন, শামীম, শাহীন, আব্দুস সবুর বলেন, এক বছর ধরে সংস্কারের অভাবে উৎপাদিত ফসলাদি বাজার কিংবা শহরে নিতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন তারা। কিন্তু এলাকার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেই। গতবার আমরা নিজেদের অর্থ এবং স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করলেও তা কিছুদিনের মধ্যেই আবার নষ্ট হয়ে যায়।

jagonews24

সাতপোয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু তাহের বলন, এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভাঙা স্থান পরিদর্শন করেছেন। দুই-চারদিনের মধ্যে সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কার কাজ শুরু হবে। এর আগে এলজিইডির বরাদ্দকৃত অর্থে সংস্কার করা হলেও ভারি বর্ষণে নষ্ট হয়ে যায়।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে আগামীকাল থেকে কাজ শুরু হবে।

আরএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।