পুত্রবধূকে ধর্ষণ, বিষপানে ছেলের আত্মহত্যাচেষ্টা

লালমনিরহাটের আদিতমারীতে সাতদিন ধরে পুত্রবধূকে ধর্ষণ করেন শ্বশুর। বিষয়টি দেখে ক্ষোভে ও লজ্জায় বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তার ছেলে। রোববারর (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিন মাস আগে প্রতিবেশী এক মেয়ের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেন ওই অটোচালক। স্বামী দিনের বেলায় অটো চালাতে বাইরে ব্যস্ত থাকেন। তার শাশুড়িও অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। আর শ্বশুরসহ পুত্রবধূ বাড়িতেই থাকেন।
গত সপ্তাহে পুত্রবধূ জ্বরে আক্রান্ত হলে ওষুধের কথা বলে শ্বশুর তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করেন। পরদিন আবারও শ্বশুর কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হলে ক্ষিপ্ত হয়ে শ্বশুর গৃহবধূর চোখে ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেন। ওইদিন দ্বিতীয় দফায় পুত্রবধূকে ধর্ষণ করেন শ্বশুর। বিষয়টি তার স্বামী ও শাশুড়িকে জানালেও তারা বিশ্বাস করেন না। এভাবে এক সপ্তাহ পুত্রবধূকে ধর্ষণ করতে থাকনে।
এক পর্যায়ে ৩ ডিসেম্বর স্বামী হাবিবুর অটোরিকশা নিয়ে বাইরে গিয়ে কিছুক্ষণ পর বাড়ি ফিরে এসে নিজ চোখে স্ত্রীর সঙ্গে বাবার অপকর্ম দেখতে পান। ৫ ডিসেম্বর বিষয়টি নিয়ে বাবা ছেলের মধ্যে বিতর্ক হয়। এ সময় প্রকাশ্যে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ছেলে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপরই তার বাবার অপকর্মের বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান ছেলের বাবা।
নির্যাতিতা গৃহবধূ জানান, বাড়িতে কেউ না থাকায় প্রথম দিন ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বশুর তাকে ধর্ষণ করে। দ্বিতীয় দিন বাধা দেওয়ায় চোখে ঘুষি মেরে আহত করে ধর্ষণ করেন। আর এভাবে সাতদিন লাগাতার ধর্ষণ করেন। বিষয়টি স্বামী ও শাশুড়িকে জানালেও তারা বিশ্বাস করেননি। শেষদিন স্বামী নিজেই দেখেছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। গৃহবধূ শ্বশুরের বিচার দাবি করেন।
গ্রামবাসীরা জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি মেয়েটির সর্বনাশ করেছেন। একাধিক গ্রাম্য সালিশে তাকে সতর্ক করা হলেও তার চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোক্তারুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, এখন পর্যন্ত ছেলে এবং মেয়ে পক্ষের কেউ থানায় অভিযোগ করতে আসেনি। তবে বিষয়টি নিয়ে আমরা তৎপর আছি।
রবিউল হাসান/এসজে/এএসএম