কর্মীকে পিটিয়ে জখম, ইলেকট্রন টেকনোলজিসের ম্যানেজারসহ কারাগারে ৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিন মাসের বকেয়া বেতন দিয়ে কর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে আবার কেড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বেসরকারি সংস্থা ইলেকট্রন টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে ব্যবস্থাপক ও দুই কর্মীকে গ্রেফতার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার আলীনগর রেলবস্তি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন-ইলেকট্রন টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক ও কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার জুম্মা হাট গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে হামিদুর রহমান (২৫), প্রিপেইড মিটার স্থাপন কাজের কর্মী চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার আলিনগর প্রান্তিকপাড়া এলাকার মো. কাশেমের ছেলে আলামিন (২১) ও রাজশাহীর পবা থানার বায়া এলাকার মো. হেলাল।
হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হন ইলেকট্রন টেকনোলজিস লিমিটেডের সুপারভাইজার শাহরিয়ার ইমন সোহেল (২৪)। তিনি নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার নিমদীঘি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওইদিন রাতেই তাকে আধুনিক সদর হাসপাতালে নেন স্থানীয়রা। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসক। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেন আহত সোহেলের ভাই ফেরদৌস সিদ্দিকী। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি (অপারেশন) মাহফুজুল হক চৌধুরী জানান, আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
থানায় লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জে সিনজেন্ট স্টার ইনস্ট্রুমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের হয়ে নেসকোর প্রিপেইড মিটার সংযোজন কাজ করছিল আরেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রেন টেকনোলজিস লিমিটেড। সেখানে সুপারভাইজার হিসেবে দায়িত্বপালন করিছলেন শাহরিয়ার ইমন সোহেল। সোহেল এবং তার ইউনিটের তিন মাসের বেতন-বিল বেকেয়া রেখেছিলেন ব্যবস্থাপক হামিদুর রহমান। বেতন চাইলেই টালবাহানা করতেন।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বকেয়া বেতন দেওয়ার নাম করে সোহেলকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডেকে নেন হামিদুর। পাওনা টাকা নিতে নিজ এলাকার বাসিন্দা ও ইলেকট্রন কর্মী রহমত আলীকে সঙ্গে নিয়ে যান সোহেল। দিনভর কৌশলে বসিয়ে রেখে সন্ধ্যায় ২০ হাজার ৭০০ টাকা দেন হামিদুর। বাকি টাকা পরে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
টাকা নিয়ে ফেরার পথে হামিদুর রহমানের নেতৃত্বে সোহেলের ওপর হামলা হয়। পেছন থেকে তার মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে সন্ত্রাসীরা। এতে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এরপর ইট দিয়ে তার বাম হাত থেঁতলে দেওয়া হয়। পরে সঙ্গে থাকা ৩০ হাজার ৭০০ টাকা ছিনিয়ে নেন হামিদুর।
সোহান শাহরিয়ার/এসআর