শীতের শুরুতেই ভিড় জমেছে শ্রীমঙ্গলে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: ০৫:৪৪ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১

ডিসেম্বরের প্রথম থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকের ঢল নেমেছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। এরইমধ্যে সবগুলো রিসোর্ট ও কটেজ বুকিং হয়ে গেছে।

আবাসন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শ্রীমঙ্গলে প্রায় ৮০টি রিসোর্ট ও কটেজ রয়েছে। তবে সবকটিতেই সিট বুকিং রয়েছে। তিনদিনের সরকারি ছুটিকে সামনে রেখে শ্রীমঙ্গলে পর্যটকদের ঢল নেমেছে।

ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গলে ঘুরতে আসা ইসমাইল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘সামনের তিনদিন বন্ধ পড়েছে। তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শ্রীমঙ্গলে ঘুরতে এসেছি। এখানকার দর্শনীয় স্থানগুলো দেখা শেষে ফিরে যাবো।’

jagonews24

ঢাকা থেকে আসাক ফয়সাল করিম বলেন, ‘যান্ত্রিক শহরে থাকতে থাকতে অনেকটা বিরক্ত চলে আসে। তাই তিনদিনের ছুটি পেয়ে ঘুরতে এসেছি। শ্রীমঙ্গলের সবুজ চা বাগান, টিলা, লাউয়াছড়াসহ বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেছি। এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য কাছে টানে।’

পর্যটক তারেক আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, শ্রীমঙ্গলের রিসোর্ট ও কটেজগুলো মোটামুটি ভালো কিন্তু এখানকার রাস্তাঘাটের অবস্থা ভালো না। এখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকদের ভিড় হয়। তাই রাস্তাঘাটগুলো আরও উন্নত হওয়া দরকার।

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শ্রীমঙ্গলে পর্যটক আসা শুরু হয় বলে জানালেন টি হেভেনের পারভেজ খান ও টি রিসোর্টের শামসুদ্দিন। তারা জানান, ছুটির দিন ভিড় এতো বেশি থাকে যে পর্যটকদের স্থান দেওয়া যায় না।

jagonews24

শ্রীমঙ্গল আবাসন পর্যটন সেবা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেলিম আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, গত তিনদিন ধরে এখানে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর পর্যটকের আগমন হচ্ছে। শ্রীমঙ্গলে দর্শনীয় স্থান ও ভালোমানের হোটেল-রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্ট থাকার কারণে এই স্থানকে বেছে নিচ্ছেন পর্যটকরা। এখানে প্রায় ৮০টির মতো হোটেল-রিসোর্ট ও কটেজ আছে। সবকটিতেই সিট বুকিং রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে। পর্যটকদের সুবিধার জন্য যা যা করার আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা ট্যুরিস্ট বাস চালু করেছি।’

আব্দুল আজিজ/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।