লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: আজও পাওয়া গেলো দুই মরদেহ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: ০১:১৭ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১

ঝালকাঠিতে সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় এক নারী ও সাড়ে ১০টায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৪ জন।

জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৮টায় বিষখালী নদীর তীরে চরে আটকে থাকা একটি নারীর ও নাপিতেরহাট এলাকায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এক যুবকের মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। অজ্ঞাত পরিচয়ের মরদেহ দুটি ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালে নিয়ে এসে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায় ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিসের বরিশাল বিভাগীয় সহকারী পরিচালক কোবাদ আলী সরকার জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় এক নারীর ও সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের প্রত্যেকেরই বয়স আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়নাতদন্তের পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আমাদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডও উদ্ধার অভিযানে তৎপরতা চালাচ্ছে।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত অভিযান-১০ লঞ্চ পরিদর্শন করেছে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের তদন্ত দল। বুধবার সকাল ১০টার দিকে তারা পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় বিভিন্ন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাৎকার নেন।

নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এজেডএম জালাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক পত্রে তদন্ত কমিটির প্রধান ইঞ্জিনিয়ার শিপ সার্ভে অ্যান্ড এক্সামিনার মো. আরাফাত হোসেনের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের তদন্ত দল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চটি ঘুরে দেখেন। পরে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, মেরিন সেফটির স্পেশাল অফিসার সৈয়দ মোরাদ আলী, অভ্যন্তরীণ জাহাজ পরিদর্শনালয়ের পরিদর্শক মো. মিলন মোল্লা, আঞ্চলিক নৌযান রেজিস্ট্রেশন ও পরিদর্শন অফিসের পরিদর্শক মো. রানা মোস্তফা।

সৈয়দ মোরাদ আলী জানান, নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর থেকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে। ৩ দিনের মধ্যে আমাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। আমরা তদন্ত করছি, সম্পন্ন হলে অধিদপ্তরে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

আতিকুর রহমান/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।