লঞ্চ ট্র্যাজেডি: হতাহতদের জন্য এলাকাবাসীর দোয়া

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: ১০:১১ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১
এমভি অভিযান ১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের জন্য দোয়া করা হয়

 

ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান ১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মাগফেরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে পৌর মিনি পার্ক সংলগ্ন সুগন্ধা নদীর তীরে এর আয়োজন করেন স্থানীয়রা। দোয়া ও মিলাদে অংশ নেন অগ্নিকাণ্ডের সময় উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া কয়েকশ মানুষ।

দোয়া পরিচালনা করেন ঝালকাঠি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা গাজী শহিদুল ইসলাম। মোনাজাতের সময় চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি অংশ নেওয়া মানুষজন।

যুবলীগ নেতা ছবির হোসেনের সভাপতিত্বে দোয়া ও মিলাদের আগে অনুষ্ঠিত আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী, পৌর মেয়র মো. লিয়াকত আলী তালুকদার, কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদ, হাবিবুর রহমান হাবিল। ভার্চুয়ালি অংশ নেন ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এমভি অভিযান ১০ লঞ্চটিকে ঝালকাঠির লঞ্চঘাট থেকে সরিয়ে সুগন্ধা নদী তীরের ডিসিপার্ক এলাকায় রাখা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সুন্দরবন-১২ লঞ্চ দিয়ে পুড়ে যাওয়া লঞ্চটিকে ডিসি পার্কে নেওয়া হয়। পণ্য ওঠানামা ও যাত্রীদের সুবিধার্থে জেলা প্রশাসন এ উদ্যোগ নেয়।

লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর নদী থেকে এ পর্যন্ত নিখোঁজ পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। একজনের পরিচয় না পাওয়ায় তার মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে সমাহিত করা হয়।

সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে নিখোঁজদের মরদেহ সন্ধানে উদ্ধার অভিযান এখনো অব্যাহত আছে। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সুগন্ধা ও বিষখালী নীদর ঝালকাঠির অংশে স্পিডবোট ও ডুবুরি নিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন।

জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনো কয়েকজন যাত্রী নিখোঁজ আছেন। তাই মরদেহ উদ্ধারে আরও দু-একদিন অভিযান চলবে।

২৩ ডিসেম্বর দিনগত রাত ৩টার দিকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান লঞ্চটিতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এলে আগুন লাগে। প্রথমদিন লঞ্চের মধ্য থেকে ৩৭ জন এবং গত সাতদিনে সুগন্ধা ও বিষখালী নদী থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান আরও চারজন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৬ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৩০ জন।

আতিকুর রহমান/এসজে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।