দিনাজপুরে হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুর
প্রকাশিত: ১১:৫৯ পিএম, ০৩ জানুয়ারি ২০২২

দিনাজপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে এক নবজাতক চুরি হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সোমবার দুপুর ২টার দিকে এই চুরির ঘটনা ঘটে। পরে বিকেল ৩টার দিকে বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে তারা সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পুলিশকে জানায়।

এই চুরির সঙ্গে জড়িত বোরখা পরিহিত এক নারী বলে জানিয়েছে নবজাতকের পরিবার। তাকে ধরতে এরই মধ্যে হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. পারভেজ সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, চুরির ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে এবং পুলিশও ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে।

জানা যায়, সকালে প্রসব ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার কারেন্টহাট এলাকার আব্দুল লতিফের স্ত্রী জায়েদা বেগম (৩৬)। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই সকাল পৌনে ৯টার দিকে তিনি এক মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন। সবাই চলে গেলেও হাসপাতালে প্রসূতি ও নবজাতকের জন্য থেকে যান প্রসূতির ছোট বোন হাজেরা বেগম। দুপুরের দিকে হাসপাতালে বোরখা পরিহিত এক নারীর সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ভাব জন্মে। দুপুরের খাবারের সময় হাত-মুখ ধোয়ার প্রস্তুতি নিলে বোরখা পরিহিত ওই নারী নবজাতকের দেখাশোনা করবেন জানিয়ে দুই বোনকেই একসঙ্গে হাত-মুখ ধোয়ার জন্য বাথরুমে পাঠিয়ে দেন।

পরে তারা উভয়েই বাথরুম থেকে ফিরে এসে দেখেন, ওই নারীও নেই, নবজাতকও নেই। তখন ঘড়িতে প্রায় দুপুর ২টা। পরে তারা ওই নারীকে খোঁজাখুঁজি করেন পুরো হাসপাতাল ও আশপাশের এলাকায়। না পেয়ে বিকেল ৩টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। পরে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি কোতয়ালী থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। তদন্তের জন্য পুলিশ হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করেছে।

প্রসূতির ছোট বোন হাজেরা বেগম বলেন, আমার বোনের আগের তিনটি মেয়ে বাচ্চা আছে। আজ চতুর্থ বাচ্চাটিও মেয়ে হয়েছে। দুপুর ১২টার দিক থেকে ওই নারীর সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়। তার কথাবার্তায় আমাদের ভালো লাগায় মুহূর্তের মধ্যে ভাব জন্মে। কিন্তু আমরা কখনোই ভাবতে পারিনি যে, তিনি বাচ্চা চুরি করে নিয়ে যাবেন।

কোতয়ালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম জানান, ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পরই আমরা হাসপাতালে এসে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আমরা মোটামুটি ওই নারীকে শনাক্ত করতে পেরেছি।

এমদাদুল হক মিলন/এআরএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।