নরসিংদীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ২
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নরসিংদী রায়পুরার বাশঁগাড়ী ও মির্জাচরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার বাশঁগাড়ী ও মির্জাচর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম রুবেল মিয়া (৩২) ও মামুন মিয়া। রুবেল মিয়া রায়পুরার মির্জাচরের মানিক মিয়ার ছেলে। রুবেল মিয়া মির্জাচরের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুকুল ইসলামের চাচাতো ভাই।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাশঁগাড়ী ইউনিয়নের সদ্য সাবেক আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান আশ্রাফুল হকের সঙ্গে নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান জাকির হোসেন রাতুলের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে একাধিক বার হামলা-পাল্টা-হামলা ও মামলার ঘটনা ঘটে। ওই সব হামলায় একাধিক লোক নিহতসহ প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ আহত হন।
রোববার সকালে আশ্রাফুল হক ও তার সমর্থকদের নিয়ে বাশঁগাড়ী গ্রামে ফেরেন। এতে বাধা দেন বর্তমান চেয়ারম্যান রাতুলের সমর্থকরা। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় একজন গুলিবিদ্ধসহ আরও পাঁচজন আহত হন।

অন্যদিকে মির্জাচর ইউনিয়নের ফারুকুল ইসলামের সমর্থকরা গ্রামে ফেরেন। ওই সময় মির্জাচরের নব-নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিক সমর্থকরা বাধা দেন। উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে ফারুকুল ইসলামের চাচাতো ভাই রুবেল মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহত হন অরও পাঁচজন।
এদের মধ্যে মামুন মিয়ার হাত কেটে নেয় প্রতিপক্ষরা। গুরুতর আহত অবস্থায় মামুন মিয়াকে বি-বাড়িয়ার নবীনগরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভৈরব হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৫টায় তার মৃত্যু হয়।
মির্জাচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুকুল ইসলাম বলেন, বাশঁগাড়ীর সাবেক চেয়ারম্যান আশ্রাফুলের লোকজনকে গ্রামে তুলে দিতে মির্জাচর থেকে লোকজন সেখানে যায়। তাদের ধাওয়া দিয়ে মির্জাচর পাঠালে বাশঁগাড়ীর রাতুল চেয়ারম্যানের হয়ে মির্জাচরের মানিক চেয়ারম্যানের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে আমার চাচাতো ভাই রুবেল মারা যায়।
অভিযোগ অস্বীকার করে মির্জাচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিক সাংবাদিকদের বলেন, বাশঁগাড়ীর সাবেক চেয়ারম্যান আশ্রাফুল ও মির্জাচরের ফারুকুল ইসলাম এক গ্রুপ। তারা একে অপরকে বরাবরই সহায়তা করে আসছেন। রোববার আশ্রাফুলের লোকজনকে গ্রামে তুলে দিতে ফারুকুলের লোকজন লাঠিয়াল হিসেবে বাশঁগাড়ী যায়। সেখানে রাতুল চেয়ারম্যানের লোকজন তাদের বাধা দেয়। এখানে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান জানান, গ্রামে ফেরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হওয়ার তথ্য পেয়েছি। এ মুহূর্তে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
সঞ্জিত সাহা/আরএইচ/জিকেএস