নরসিংদীতে সহিংসতার অভিযোগে দুই চেয়ারম্যান গ্রেফতার
নরসিংদীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে সহিংসতার অভিযোগে দুই চেয়ারম্যান এবং ৭ ডাকাতসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান।
গ্রেফতার সাত ডাকাত হলেন- মাধবদী থানার আমদিয়া এলাকার জাহিদুল হক টিপু, মো. শাহ আলম, সোহাগ মিয়া, পলাশের ঘোড়াশাল এলাকার নূরে আলম, রুবেল, আল আমিন ও আবু তাহের।
এছাড়া সহিংসতার অভিযোগে গ্রেফতাররা হলেন- সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু (৫০), আসাদুল্লাহ এবং রায়পুরার দুর্গম চরাঞ্চল মির্জারচর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাফর ইকবাল মানিক।

পৃথক চারটি অভিযানে ২টি বিদেশি পিস্তল, ১টি ১নালা বন্ধুক, ১টি পাইপগান, ২টি চাইনিজ কুড়াল, ৬টি কার্তুজ, ৫রাউন্ড গুলি, ১টি রামদা, ২টি ছোরা, ১টি কাভার্ডভ্যান,১টি সিএনজি,১২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয় ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নরসিংদীর আমদিয়া ইউনিয়নের বেলাটি সাকিনস্থ হুওরা বিলে সাদিরের মাছের ঘেরের পাড়ে টং ঘরে ডাকাতদের ঘিরে ফেলে পুলিশ। এ সময় তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি, একটি ছুরি জব্দ করা হয়। অন্যদিকে নরসিংদীর ঘোড়াশালে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি পাইপগান ও দেশীয় অস্ত্রসহ চার ডাকাতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার ডাকাতদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এদিকে রায়পুরার চরাঞ্চল মির্জাপুর ইউনিয়নের সহিংসতা ও টেঁটাযুদ্ধের মূলহোতা চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিককে একটি দুই নালা বন্ধুক, চারটি কার্তুজসহ গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়া নরসিংদীর সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের সহিংসতা ও টেঁটাযুদ্ধের মূলহোতা বর্তমান চেয়ারম্যান ও আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দীপু এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে খুনাখুনিসহ সংঘর্ষের ইন্ধনের অভিযোগ রয়েছে।
সঞ্জিত সাহা/এসজে/এএসএম