এক সেতুর রেলিং ভাঙা, আরেক সেতুতে বাঁশ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: ০৮:৩৬ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
সেতুর রেলিং ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে, বাঁশ দিয়ে কোনোরকম রেলিং দেওয়া হয়েছে।

ঝিনাইদহে রেলিং ভেঙে থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে ভুটিয়ারগাতী ও চাকলাপাড়া এলাকার দুটি সেতু। একটিতে কোনোরকম বাঁশ দিয়ে রেলিং দেওয়া হলেও আরেকটি এখনো ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। দীর্ঘদিন ধরে এমন নাজুক অবস্থায় সেতু দুটির ওপর দিয়ে চলাচল করছে দূরপাল্লা ও স্থানীয় রুটের যানবাহন। এতে পথচারীদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনা থেকে রাজশাহী বিভাগের যোগাযোগের একমাত্র পথ এটি। এ সড়কের ঝিনাইদহের চাকলাপাড়া এলাকায় নবগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত একটি সেতুর এক পাশের রেলিং দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে পড়ে আছে। ভাঙা অংশে দুর্ঘটনা এড়াতে লাগানো হয়েছে বাঁশের রেলিং।

এদিকে ঝিনাইদহ বাইপাস এলাকার ভুটিয়ারগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় একই নদীর ওপরে আরেকটি সেতুর রেলিংও দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে পড়ে আছে। এমন নাজুক অবস্থায় সেতু দুটির ওপর দিয়ে দিন রাত চলাচল করছে দূরপাল্লা ও স্থানীয় রুটের সব ধরনের যানবাহন। তবুও গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ দুটি মেরামতে নেই সড়ক বিভাগের কোনো উদ্দোগ।

শহরের চাকলাপাড়া এলাকার আমিনুল হক নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সেতুটির রেলিং ভেঙে পড়ে আছে। এ সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও মেরামত করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, এক বছর আগে চাকলাপাড়া এলাকার এ সেতুতে সন্ধ্যার দিকে মোটরসাইকেল ও চাল বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সে সময় ট্রাকটি সেতুর রেলিং ভেঙে নদীর মধ্যে পড়ে যায়। এর কিছুদিন পর থেকেই দুর্ঘটনা এড়াতে ভাঙা অংশে বাঁশ বেঁধে দেয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সেটি মেরামত করা হয়নি।

ভুটিয়ারগাতী এলাকার সলিম উদ্দিন লস্কার বলেন, আমাদের এলাকার সেতুটির ফুটপাত ও এক সাইডের রেলিং দীর্ঘ দিন ধরে ভেঙে পড়ে আছে। এতে সাধারণ মানুষ ও যানবাহন এক প্রকার ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি পারাপার হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সেতুতে রাতে আলোর ব্যবস্থা নেই। দেড় বছর আগে একটি ট্রাক রেলিংয়ে ধাক্কা দিয়ে ঝুলে থাকে। সে সময় থেকে এটি এ অবস্থায় পড়ে আছে। এ দুর্ঘটনার পর থেকে ছোটখাটো যানবাহন গেলেও সেতুটি প্রচণ্ড কাঁপে। এছাড়া এ সেতুর ওপর দিয়ে খুলনা বিভাগের সঙ্গে রাজশাহী বিভাগের সব ধরনের যানবাহন চলাচল করে। এমনকি রাজধানী ঢাকা যেতেও সেতুটি ব্যবহার করা হয়।

গড়াই পরিবহনের চালক উজ্জল বিশ্বাস বলেন, বাঁকযুক্ত পবহাটি সেতুটি পার হতে বেশ বেগ পেতে হয়। এখানে সেতুর সাইড ভাঙা। কোন কারণে একটু ভুল হলেই সেতুর সাইডে গাড়ি পড়লে নিশ্চিত বড় ক্ষতির মুখোমুখি হবে।

বেনাপোল বন্দর থেকে মালামাল নিয়ে রাজশাহী যাওয়ার পথে ট্রাক চালক আকাউল হক বলেন, নিয়মিতই বন্দর থেকে মালামাল নিয়ে রাজশাহীসহ অন্যান্য স্থানে যেতে হয়। যখন এই সেতুর ওপরে ট্রাক ওঠে তখন কাঁপতে থাকে। মনে হয় কখন যেন ভেঙে পড়ে।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার পারভেজ জাগো নিউজকে বলেন, আমরা ঝিনাইদহের বেশ কিছু সেতুর রেলিং মেরামতের তালিকা তৈরি করেছি। এ তালিকার মধ্যে এ দুটি সেতু আছে কি না তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। তবে দ্রুতই এ রেলিং ঠিক করা হবে।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসজে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।