অনুমোদন শুধু বনজ গাছে, কাটা হচ্ছে ফলদও

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: ০১:২৪ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সড়ক প্রশস্তকরণের জন্য নিলাম হয়েছে শুধু বনজ গাছের। কিন্তু নিলাম ছাড়াই প্রকাশ্যে কাটা হচ্ছে ফলদ গাছও। উপজেলার ইরি খালের কয়েক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে এসব ফলদ গাছ কাটা হচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, গাছ বিক্রির সঙ্গে জড়িত পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) শৈলকুপা শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অনেকে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শৈলকুপা উপজেলার লাঙ্গলবাধ-শেখপাড়া সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। তাই সেখানে বনজ গাছ কাটার নিলাম করে বনবিভাগ। তবে শৈলকুপা পাউবোর কিছু কর্মকর্তা ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আ. রশিদ সঙ্গে যোগসাজশে ফলদগাছ কেটে নিচ্ছেন প্রভাবশালীরা। এসব গাছের মধ্যে রয়েছে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু। যদিও নিলামে উল্লেখ আছে, কোনো ফলদ গাছ কাটা যাবে না। কিন্তু সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে এসব গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে।

কাশিনাথপুরের বাসিন্দা আকরাম খান অভিযোগ করে বলেন, ‘এ এলাকার প্রচুর ফলদ গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে। আরও কাটা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে গাছ কাটার অনুমতিও দিয়েছে শুনলাম।’

গাছ ব্যবসায়ী সাহেব আলী বলেন, ‘ফলের গাছগুলো যাদের বাড়ির সামনে পড়েছে তাদের কাছ থেকে আমরা কিনে নিয়েছি। এছাড়া এক একটা গাছ বাবদ পাউবোর রশিদকে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।’

কাশিনাথপুরের আরেক বাসিন্দা গোপাল। তিনিও তার বাড়ির কাছের সরকারি ফলদ গাছ কেটে নিচ্ছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ির সামনের গাছ, তাই কাটছি। গাছ কাটা বাবদ পাউবোর রশিদকে টাকা দিয়ে গাছ কাটার অনুমতি নিয়েছি।’

শৈলকুপা বন কর্মকর্তা মোখলেচুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, এসব গাছ ওয়াপদা কর্তৃপক্ষ ও বন বিভাগ পৃথক নিলাম আহ্বান করে। তবে কোনো ফলদ গাছ কাটার নিলাম হয়নি এবং ওই সব গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

টাকা নিয়ে ফলদ গাছ কাটার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে পাউবোর শৈলকুপা শাখার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আ. রশিদ জাগো নিউজকে বলেন, আমি এসব গাছের দেখভালের দায়িত্বে আছি। যার যার বাড়ির সামনের গাছ তারা কেটে নিচ্ছে। বারবার নিষেধ করা স্বত্বেও তারা শুনছে না।

এ বিষয়ে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিকর্ণ দাস জাগো নিউজকে বলেন, ফলদ গাছ কেটে নেওয়ার বিষয়টি জানি না। খোজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসজে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।