বাউফলে করোনার টিকা গেলো ডাস্টবিনে!

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ০১:০৫ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২
টিকার ডোজ জমা করে রাখা সিরিঞ্জ

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভায়াল থেকে করোনা টিকার ডোজ সিরিঞ্জে জমা রেখে শিক্ষার্থীদের দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নজরে আসলে প্রতিবাদ জানান অভিভাবকরা। এরপর সিরিঞ্জে জমা রাখা শতাধিক টিকার ডোজ বাতিল করে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার খবর পাওয়া যায়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ২০-২৫ ডোজ টিকা নষ্ট হয়েছে।

অভিভাবকদের অভিযোগ, যখন পুশ করা হয় ঠিক তখনই ভায়াল (বোতল) থেকে সিরিঞ্জে টিকার ডোজ নেওয়ার কথা। কিন্তু বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বে থাকা নার্সরা একসঙ্গে শতাধিক সিরিঞ্জে ডোজ ভরে জমা রেখে তারপর টিকা পুশ করছিলেন। সোমবার বিষয়টি দেখে কয়েকজন অভিভাবক প্রতিবাদ জানান। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিরিঞ্জে ভরা টিকার ডোজগুলো ডাস্টবিনে ফেলে দেয়।

টিকা কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা সিনিয়র স্টাফ নার্স ফেরদৌসি আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, ‘সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) কোনো ধরনের অভিজ্ঞতা না থাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ কার্যক্রমে যারা যুক্ত আছেন তারা শুরু থেকেই ভায়াল থেকে টিকা ডোজ সিরিঞ্জে ভরে জমা রেখে একের পর এক পুশ করেন বিধায় আমরাও একই নিয়ম পালন করেছি।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভায়াল থেকে সিরিঞ্জে টিকার ওষুধ বের করে সঙ্গে সঙ্গে পুশ করার নিয়ম। ছাত্র-ছাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় নার্সরা সিরিঞ্জগুলো ভরে রেখেছিল বলে শুনেছি। এরপরও দায়িত্বরতদের শোকজ করা হয়েছে। তাদের লিখিত বক্তব্য পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

কতগুলো টিকার ডোজ নস্ট হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে ২০ থেকে ২৫ ডোজের বেশি নয়।’

এ বিষয়ে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. কবির হাসান জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। কিছুক্ষণ আগে জেনেছি, কেন এমন হলো এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আব্দুস সালাম আরিফ/এসজে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।