ধর্ষণের পর গৃহবধূকে ৬ টুকরা: হত্যার দায় স্বীকার প্রধান আসামির

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সুনামগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৫:৫৪ পিএম, ০১ মার্চ ২০২২
মামলার প্রধান আসামি জিতেশ চন্দ্র গোপকে আদালতে নেওয়া হচ্ছে

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন জ্যোৎস্নাকে (৩৫) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ শেষে ছয় টুকরা করে মরদেহ গুমের চেষ্টার ঘটনায় আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি জিতেশ চন্দ্র গোপ।

মঙ্গলবার (১ মার্চ) বিকেলে দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইয়েদ মাহবুবুল ইসলাম তার জবানবন্দী রেকর্ড করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডির) পরিদর্শক লিটন দেওয়ান বলেন, মামলার প্রধান আসামি আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

jagonews24

গত রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুর রহিমের আদালতে তিন আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে আদালত তাদের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড শেষে গত রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহানের আদালতে হাজির করে আবারও আট দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে জগন্নাথপুরের সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন জ্যোৎস্নাকে (৩৫) কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর গভীর রাতে ফার্মেসির ভেতর তাকে ধর্ষণ করেন আসামিরা। ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ করার কথা বলায় শ্বাসরোধে শাহনাজকে হত্যা করে মরদেহ ৬ টুকরা করা হয়। পরে মরদেহ গুমেরও পরিকল্পনা করেন ধর্ষকরা। রাজধানী ও সুনামগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারি শাহনাজ হত্যার মূল তিন আসামিকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানতে পারে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ ঘটনায় নিহতের ভাই হেলালউদ্দিন বাদী হয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথপুর থানায় মামলা করেন।

লিপসন আহমেদ/আরএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।