মাহফিলে ধাক্কা লাগায় ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা
ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ওয়াজ মাহফিলে ধাক্কা লাগায় ছুরিকাঘাতে হুসাইন (২২) নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত হুসাইন মান্দার বাড়িয়া গ্রামের হামদহ মাঝিপাড়ার মনিরুল ইসলামের ছেলে। তিনি বাবার সঙ্গে ফল বিক্রি করতেন।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সবুজ হোসেন (২৩) ও শিলন হোসেন (২৩) নামে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার দিনগত রাতে এলাকাবাসী মান্দারবাড়িয়া গ্রামে একটি ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে। সেখানে রাত ৯টার দিকে হামদহ মাঝিপাড়া থেকে মাহফিল শুনতে যান হুসাইন, জুলফিকার ও ফিরোজ। এ সময় তাদের সঙ্গে ধাক্কা লাগা নিয়ে স্থানীয় যুবক জিহাদ, শিলন ও সবুজের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এরই এক পর্যায়ে তারা হুসাইন, জুলফিকার ও ফিরোজকে ধারালো ছুরি দিয়ে বুকের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন।
আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য হুসাইন ও জুলফিকারকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বৃহস্পতিবার ভোরে মারা যায় হুসাইন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, ১৫ দিন আগে সদর উপজেলার বড়াতলা গ্রামে অনুষ্ঠিত ওয়াজ মাহফিলে বাইরের কিছু ছেলেরা স্থানীয় যুবক জিহাদসহ কয়েকজনকে মারধর করে। পরে গ্রামের লোকজন বসে বিষয়টি মীমাংসাও করেছিলেন। তবে সেই ঘটনার জেরেই হুসাইন, জুলফিকার ও ফিরোজকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ১৫ দিন আগে সদর উপজেলার বড়াতলা গ্রামে একটি ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানেও ছোট মান্দারবাড়িয়া ও বাইরের কিছু যুবকের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজনের মারামারি হয়েছিল। তবে বর্তমানে যে ঘটনা ঘটেছে তা ওই ঘটনার জেরে হয়েছিল কি না সঠিকভাবে বলতে পারছি না।
ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার জাগো নিউজকে বলেন, কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা উদঘাটনে তদন্ত চলছে। থানায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে বড়াতলা এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসজে/জেআইএম