ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি প্রত্যাহার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ০৮:১১ পিএম, ১৬ মার্চ ২০২২
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুজ্জামান

চাঞ্চল্যকর জুতা ব্যবসায়ী হাসান আলী হত্যা মামলার এক আসামির স্বজনের সঙ্গে ঘুস লেনদেনের ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুজ্জামানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ মার্চ) দুপুরে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম প্রত্যাহারের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।

তিনি বলে, ওসি মো. তৌহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের পর অভিযোগ প্রমাণিত হলে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের ১০ এপ্রিল গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ রানার বাসা থেকে জুতা ব্যবসায়ী হাসান আলীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মাসুদসহ তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়। অন্য দুই আসামি হলেন রুমেল হক ও খলিলুর রহমান বাবু। এর মধ্যে মাসুদ রানা গ্রেফতার হয়ে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন গাইবান্ধা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুজ্জামান। ঘটনার ৯ মাস পর চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি মাসুদ ও খলিলুর রহমান বাবুসহ দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মো. তৌহিদুজ্জামান।

১৮ জানুয়ারি সুন্দরগঞ্জের ওসি হিসেবে বদলি হন। গাইবান্ধা কোর্ট পুলিশ ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে অভিযোগপত্রটি সংশোধনের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা তৌহিদুজ্জামানের কাছে ফেরত পাঠায়। ৭ মার্চ রুমেল হকসহ তিন আসামিকেই অভিযুক্ত করে আদালতে সংশোধিত অভিযোগপত্র জমা দেন তিনি।

সম্প্রতি অভিযোগপত্রে থাকা এক আসামির স্বজনের সঙ্গে তার ঘুস লেনদেনের ফোনালাপ ফাঁস হয়। পাঁচ দফায় প্রায় ১৭ মিনিটের ফোনালাপ হয়। এতে মামলার অভিযোগপত্র থেকে এক আসামির নাম বাদ দেওয়া ও আইনের ধারা কমিয়ে দিতে টাকা লেনদেনের কথাবার্তা হয়। কিন্তু কথামতো কাজ না হওয়ায় টাকা ফেরত চান ওই আসামির স্বজন।

এদিকে ফোনালাপটি দেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে গত ১৪ মার্চ থেকে গাইবান্ধার বিভিন্ন মহলে আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠে।

যদিও ঘুস লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করেন ওসি তৌহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, অভিযোগটি সঠিক নয়। এটা অসম্ভব। এটা চাঞ্চল্যকর মামলা, টাকা নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।

ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা লেনদেন নিয়ে আমার কারও সঙ্গে কোনো কথাবার্তা হয়নি। এছাড়া আমি কোনো আসামির নাম বাদ দেইনি।

জাহিদ খন্দকার/এসজে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।