বৃদ্ধকে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে লাশ হলেন পুত্রবধূ-নাতি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মুন্সিগঞ্জ
প্রকাশিত: ১১:০৫ পিএম, ২০ মার্চ ২০২২
লঞ্চডুবিতে আব্দুর রব বেঁচে ফিরলেও শীতলক্ষ্যায় সলিল সমাধি হয়েছে তার পুত্রবধূ ও দুই বছরের নাতির। ছবি: জাগো নিউজ

শ্বশুর আব্দুর রবের শ্বাসকষ্ট। তাকে ভালো চিকিৎসক দেখাতে মুন্সিগঞ্জ থেকে নারায়ণগঞ্জ শহরে নিয়ে গিয়েছিলেন পুত্রবধূ আরিফা (৩৫)। সঙ্গে ছিল তার দুই বছরের ছেলে সাফায়াত। শ্বশুরকে চিকিৎসক দেখানো হয়েছে ঠিকই, তবে শেষ পর্যন্ত আর বাড়ি ফেরা হয়নি পুত্রবধু ও নাতির।

রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ থেকে ফেরার পথে শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবিতে প্রথমে নিখোঁজ হন তারা। পরে সন্ধ্যার দিকে মা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত আরিফা ও সাফায়াত মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার রমজানবেগ এলাকার দ্বীন ইসলামের স্ত্রী ও ছেলে। এ যাত্রায় বেঁচে ফেরা আব্দুর রব বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

jagonews24

ছেলের বউ ও নাতিকে হারিয়ে রুসিয়া বেগমের আহাজারি। ছবি: রাশেদুল ইসলাম রাজু

নিহত আরিফার ননদ ডালিয়া বেগম জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাবার শ্বাসকষ্ট ছিল। তাকে ডাক্তার দেখাতে ভাবি ও ভাতিজা নারায়ণগঞ্জে গিয়েছিল। দুপরে তাদের ফেরার কথা ছিল। কিন্তু লঞ্চডুবিতে আমার ভাবি-ভাতিজা নিখোঁজ হয়। বাবা একটা বস্তা ধইরা কোনোমতে তীরে ওঠেন। সন্ধ্যাবেলা খবর পাই, ভাবি ও ভাতিজার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বাবা এখন মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি কথা বলতে পারছেন না। আর ভাবি ও ভাতিজার মরদেহ এখনো আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।’

রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে নারায়ণগঞ্জের কয়লাঘাট এলাকায় কার্গো জাহাজ ‘এমভি রূপসী-৯’ এর ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘এমএল আশরাফউদ্দিন’ ডুবে যায়। লঞ্চে ৪০-৫০ জন যাত্রী ছিল। উদ্ধার অভিযানে এখন পর্যন্ত ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে, সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া হোসেন্দি এলাকা সংলগ্ন মেঘনা থেকে ঘাতক জাহাজটিকে আটক করে গজারিয়া কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ।

আরাফাত রায়হান সাকিব/এএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।