সড়ক অবরোধের পর রাজাপুরের টিএইচওর বদলির আদেশ প্রত্যাহার
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. আবুল খায়ের রাসেলের বদলির আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) বিকেলে তার বদলির আদেশ প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. শিহাব উদ্দিন।
জানা গেছে, ডা. রাসেলের বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে খুলনা-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারীসহ স্থানীয়রা। এতে তিন ঘণ্টা বন্ধ ছিল হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা। যার ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীদের।
খবর পেয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এসময় তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। ওই সময় জেলা পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ও সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ ইচ এম জহিরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোক্তার হোসেনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের বদলি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তিনিও বদলি হয়ে ঝালকাঠি এসেছেন। আজ হোক, কাল হোক বার বছর পর হোক সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে যে কেউ যে কোনো মুহূর্তে বদলির আদেশ পেতে পারেন, এটাই স্বাভাবিক।

তিনি আরও বলেন, কারও বিরুদ্ধে জনস্বার্থবিরোধী অভিযোগ থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ডা. রাসেল সাহেব যেহেতু স্বপ্রণোদিত হয়ে বদলির আবেদন করেছেন, কেন করেছেন তাও তদন্ত করা করা হবে। তাই সবাইকে ধৈর্যধারণ করার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক।
আরও জানা গেছে, গত ২১ মার্চ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে ডা. রাসেল নিজেই রাজাপুর থেকে অন্যত্র বদলি হন। তিনি প্রায় এক যুগ ধরে এই উপজেলাতে কর্মরত। তবে ডা. রাসেলের বদলির খবর ছড়িয়ে পড়লে তা বাতিলে সড়ক অবরোধ করা হয়। কর্মসূচিতে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা ও স্থানীয়রা অংশ নেন।
এসময় স্থানীয় এক ক্লিনিক ব্যবসায়ী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি ও বিভিন্ন দপ্তরে নানা অভিযোগ করে ডা. রাসেলকে হয়রানি করে আসছেন বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।
পরে জেলা প্রশাসকের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়। এর কিছু পরে তার বদলির আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
আতিকুর রহমান/এমআরআর/জেআইএম