‘বন্ধু পুনর্মিলনী’র আড়ালে হাউজি খেলা!
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বন্ধু পুনর্মিলনী’। তবে পুনর্মিলনীর আড়ালে চলছিল হাউজি খেলা (এক ধরনের জুয়া)। বিষয়টি জানার পর খেলা পণ্ড করে সরঞ্জামাদি জব্দ করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাতে জয়পুরহাটের পৌর এলাকার স্বপ্নছায়া কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। স্বাধীনতা দিবসে এমন আয়োজন ঘিরে সমালোচনা হচ্ছে।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, স্বপ্নছায়া কমিউনিটি সেন্টারের বাইরে ব্যানারে লেখা ছিল ‘বন্ধু পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান-২২, ১৯৮০ ব্যাচ’। আর ভেতরে চলছিল হাউজি খেলা। দুপুর ২টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রায় এক হাজার লোকের উপস্থিতিতে হাউজি খেলা চলছিল।

হাউজি শিটের উল্টো পৃষ্ঠে ছিল স্বপ্নছায়া কমিউনিটি সেন্টারের নাম সম্বলিত সিল। জয়পুরহাটের বিভিন্ন উপজেলাসহ বাইরের জেলার মানুষদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসসহ রাস্তায় বিভিন্ন গাড়ির উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
বগুড়ার শিবগঞ্জ থেকে আসা ছাত্তার হোসেন, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার রুবেল মিয়া ও দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের শিপন হোসেনসহ কয়েকজন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা কেউই ১৯৮০ ব্যাচের ছাত্র না। প্রশাসনের অনুমতি আছে বলে আমাদের এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। পরে আমরা পুলিশের তাড়া খেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তড়িঘড়ি করে বের হয়েছি। এতে আমাদের ক্ষতিও হতে পারতো।’

স্বপ্নছায়া কমিউনিটি সেন্টারের স্বত্বাধিকারী তরিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘১৯৮০ ব্যাচের ছাত্ররা কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া নিয়ে আনন্দ-উল্লাস করছিল। এরই অংশ হিসেবে হয়তো হাউজি খেলার আয়োজন করেছিল তারা।’
ঘটনার পর থেকে সবাই পলাতক থাকায় পুনর্মিলনী আয়োজন কমিটির কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আলমগীর জাহান জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর সঙ্গে সঙ্গে ফোর্স পাঠিয়ে হাউজি খেলা পণ্ডসহ সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে। তবে খেলা পরিচালনাকারীরা জেলার বাইরের হওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে বিষয়টির তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাশেদুজ্জামান/এসআর/এএসএম