মামলা তুলে নিতে দিনে হুমকি, রাতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: ০৬:২৮ পিএম, ২৮ মার্চ ২০২২
প্রতীকী ছবি

ঝালকাঠির রাজাপুরে নারী নির্যাতন মামলা তুলে নিতে দিনে হুমকি দেওয়ার পর রাতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। রোববার (২৭ মার্চ) রাতে উপজেলার পশ্চিম বাঁদুরতলা এলাকার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আ. বারেক সিকদারের গোয়ালে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে রাতেই রাজাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রুস্তম আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

একটি নারী নির্যাতনের মামলার জেরে স্থানীয় মিজান, শামীম, মান্নান ও আরিফ পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই আগুন দিয়েছেন বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, গত ১৯ মার্চ রাতে তাদের বাড়ির এক গৃহবধূ প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরে ফেরার সময় স্থানীয় মিজান, শামীম, মান্নান ও আরিফ তাকে জাপটে ধরে শ্লীলতাহানি করে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এতে ধস্তাধস্তিতে ওই গৃহবধূ অসুস্থ হয়ে পড়লে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে কয়েকদিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফেরেন। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ নিজেই আদালতে নালিশী অভিযোগ দায়ের করেন।

আদালত রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় রোববার দুপুরে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দেন অভিযুক্তরা, নইলে বসতভিটা ছাড়া করার হুমকি দেন।

প্রতিবেশী বিথীর ভাষ্য, রাত ৯টার দিকে এশার নামাজের জন্য অজু করতে নেমে দেখি গোয়ালঘরে আগুন জ্বলছে। এসময় চিৎকার দিলে কয়েকজনকে দৌড়ে পালাতে দেখি।

আরেক প্রতিবেশী শিখা বেগম বলেন, বিথী বাইরে গিয়ে আগুন আগুন চিৎকার দিলে আমরা দৌড়ে এসে দেখি গোয়ালঘর জ্বলছে। পরে যে যেভাবে পারছে পানি দিয়ে আগুন নিভাইছে।

ক্ষতিগ্রস্ত আ. বারেক সিকদার বলেন, আগুন আগুন চিল্লাচিল্লি শুনে রাস্তা থেকে দৌড়ে বাড়িতে ঢোকার সময় দেখি বিপরীত দিক থেকে মিজান, শামীম, মান্নানসহ আরও কয়েকজনে দৌড়ে পালাচ্ছে। বাড়িতে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা পৌঁছার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।

তিনি বলেন, গোয়ালঘর সংলগ্ন বসতঘরের ওপরে পানির ট্যাংকি থাকায় আগুনের তাপে তা গলে পানি পড়তে থাকায় গোয়ালঘর সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়নি। তবে সেখানে স্তূপ করে রাখা খড় আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কয়েকটি সুপারি গাছও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

গৃহকর্তী মোসা. মাহফুজা শিউলী বলেন, রাত ৯টার দিকে ধোঁয়ায় ঘর অন্ধকার দেখে চিৎকার করে উঠি। এর মধ্যে আগুনের তাপ ভেতরে আসতে শুরু করে। আমরা দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে আগুন নেভাতে চিৎকার দিই। প্রতিবেশীরা আমাদের জীবন রক্ষা করেছে।

রাজাপুর থানার এএসআই রুস্তম আলী বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আতিকুর রহমান/এমআরআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।