অ্যাসিডে ঝলসানো মুখ নিয়েই হাসপাতাল থেকে উধাও সেই ‘প্রেমিক’

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর
প্রকাশিত: ০২:৪০ পিএম, ০৩ এপ্রিল ২০২২

পরকীয়ার জেরে বন্ধুর নিক্ষেপ করা অ্যাসিডে ঝলসানো মুখ নিয়েই হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন রানা সেখ (৩৫) নামের এক যুবক।

রোববার (৩ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান তিনি। হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের ডা. রতন সাহা জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, অ্যাসিড নিক্ষেপে আহত রানা চক্ষুর অন্তরালে ফাইলপত্র নিয়ে হাসপাতাল থেকে কৌশলে পালিয়ে গেছে। রোববার দুপুর দেড়টা থেকে তাকে আর বেডে পাওয়া যায়নি।

এর আগে শনিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ফরিদপুর শহরের গুহলক্ষ্মীপুর এলাকায় বন্ধু রানাকে ডেকে এনে অ্যাসিড নিক্ষেপে মুখমণ্ডল ঝলসে দেন রিপন ওরফে টাকি রিপন। তাকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা।

আহত রানা ফরিদপুর পৌর শহরের মধ্য আলীপুরের বাসিন্দা মো. রব শেখের ছেলে। অভিযুক্ত রিপন ওরফে টাকি রিপন পৌর শহরের গুহলক্ষ্মীপুর এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এম এ জলিল জাগো নিউজকে বলেন, রানা ও রিপন দুজন সম্পর্কে বন্ধু। দুইজনই নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাদের নামে মাদকসহ একাধিক মামলাও রয়েছে। কিছুদিন আগেও দুজনে একসঙ্গে জেলা কারাগারে ছিলেন। রানা সেখ আগে জামিন পান। টাকি রিপনের স্ত্রীর সঙ্গে রানার পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। টাকি রিপন জেল থেকে জামিনে এসে তার স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধু রানার পরকীয়ার সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারে।

ওসি আরও বলেন, পরকীয়ার জের ধরে রানাকে ডেকে এনে তার মুখমণ্ডলে অ্যাসিড ছুড়ে মারেন বন্ধু রিপন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ নিয়ে রানার পরিবারের লোকজন থানায় এসেছিলেন। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার জাগো নিউজকে বলেন, বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার জের ধরে ডেকে নিয়ে এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এন কে বি নয়ন/এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।