সাংগ্রাই উৎসবে মেতেছে খাগড়াছড়ি
ত্রিপুরাদের ‘বৈসু’ আর চাকমাদের ‘ফুল বিজ’ উৎসবের পর এবার পাহাড়ে সাংগ্রাই উৎসবে মেতেছেন মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে নানা বয়সীরা। পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জনগণের বৈসাবি উৎসবের রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে পাহাড়ি জনপদ খাগড়াছড়ি। এ উৎসবে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে সাংগ্রাই উৎসব।
‘সাংগ্রাইং আসছে, একসঙ্গে মিলেমিশে জল উৎসবে মেতে উঠি’ স্লোগান সামনে রেখে হিংসা-বিদ্বেষ, দুঃখ-গ্লানি ভুলে পাহাড়ের আনাচে-কানাচে জল উৎসবে মেতে উঠেছেন মারমা সম্প্রদায়ের লোকজন।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) সকালের দিকে পানখাইয়া পাড়া বটতল প্রাঙ্গণে সাংগ্রাই আনন্দ শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
এসময় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, খাগড়াছড়ি সদর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, মহা সাংগ্রাই উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক উচিং মং মারমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রীর পদ-মর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, বৈসাবি শুধু ত্রিপুরা, চাকমা ও মারমাদের উৎসব নয়, এ উৎসব সর্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়েছে। আমরা পাহাড়ি-বাঙালি সব সম্প্রদায় এক হয়ে এ উৎসব পালন করতে চাই।
পাহাড়ের সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পাহাড়ের পরিস্থিতি যারা ঘোলাটে করার অপচেষ্টা করছেন তাদের বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

পরে সাংগ্রাই আনন্দ শোভাযাত্রাটি খাগড়াছড়ির প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পানখাইয়া পাড়া বটতল প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় মারমারা নেচে-গেয়ে শহরকে উৎসবমুখর করে তোলেন। পরে সেখানে সাংগ্রাই উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ মৈত্রীময় জলকেলিতে অংশ নেন মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এসআর/জিকেএস