মিটারের অভাবে দেড় মাস ধরে দোকানের সংযোগে চলছে স্কুলের ফ্যান
পুরাতন ভবন ভেঙে ফেলায় নতুন ভবনে চলছে ঝালকাঠি সদর উপজেলার শ্রীমন্তকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম। পুরাতন ভবনের মিটার বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ নিয়ে যাওয়ায় দেড় মাস ধরে বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যালয়ের সংযোগ। গরমের কথা চিন্তা করে পার্শ্ববর্তী দোকান থেকে সংযোগ (সাইড কানেকশন) নেন প্রধান শিক্ষক। এতে কোনোরকম চলছে স্কুলের বৈদ্যুতিক পাখা।
স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা জানান, ঝালকাঠি সদর উপজেলার ২২টি পুরাতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নিলাম দেওয়া হয়েছে। তাই বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারের নতুন ভবনে শিক্ষাকার্যক্রম চলছে।
শ্রীমন্তকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনে বৈদ্যুতিক মিটার রেখেই সেখান থেকে সংযোগ নিয়ে নতুন ভবনে ব্যবহার করা হতো। পুরাতন ভবন ভেঙে নিয়ে গেলে মিটারটি একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখেন ক্রেতারা। গত ৮ মার্চ মিটারটি নতুন ভবনে স্থাপনের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে জানান প্রধান শিক্ষক কল্পনা রানি ইন্দু।

তবে ৯ মার্চ স্থানীয় একটি মহল বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনকে ডেকে এনে মিটারটি জমা দিয়ে দেন। ফলে পরদিন ১০ মার্চ থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তাৎক্ষণিক পার্শ্ববর্তী একটি চায়ের দোকান থেকে সংযোগ নিয়ে ফ্যান চলার ব্যবস্থা করা হয়। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক কল্পনা রানি ইন্দু মিটারটি ফিরে পেতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে ৩৪৫ টাকা জমা দিয়ে আবেদন করেন।
কল্পনা রানি ইন্দু বলেন, নিলামে নেওয়া পুরাতন ভবনটি ভাঙার পর খুঁটিতে ঝুলিয়ে রাখা হয় মিটারটি। পরবর্তীতে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন এসে মিটারটি খুলে নেয়। পুনরায় মিটারটি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রুতই সমাধান হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝালকাঠি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. ছাদেক জামান জাগো নিউজকে বলেন, শ্রীমন্তকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিটার পুনস্থাপনের জন্য প্রধান শিক্ষক আবেদন করেছেন। দাপ্তরিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলে দ্রুত সময়ের মধ্যেই মিটার স্থাপন করা হবে।
আতিকুর রহমান/এসজে/জিকেএস