২২ ঘণ্টা পর বালাসী-বাহাদুরাবাদ নৌরুটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ০৫:০৪ পিএম, ০৮ মে ২০২২
গাইবান্ধার বালাসীঘাট

প্রায় ২২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর গাইবান্ধার বালাসী থেকে জামালপুরের বাহাদুরাবাদ ঘাট পর্যন্ত নৌরুটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

রোববার (৮ মে) দুপুরে বালাসী-বাহাদুরাবাদ ঘাট লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মেহেদী হাসান জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে নাব্য সংকটে ডুবোচরে এমভি মোহব্বত ও রিভারস্টার লঞ্চ দুটি আটকে যাওয়ার কারণে শনিবার (৭ মে) বেলা ১১টা থেকে রোববার (৮ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত এ নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখে ঘাট কর্তৃপক্ষ।

মেহেদী হাসান বলেন, নাব্য সংকটের কারণে আটকে যাওয়া লঞ্চ দুটির নিচ থেকে বাল্কহেড দিয়ে বালি অপসারণ করে জামালপুরের বাহাদুরাবাদ ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে বিআইডব্লিউটিএর একজন প্রকৌশলীর মাধ্যমে নতুন রুট ঠিক করে দেওয়ার পর সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এখন যাত্রীরা নিয়মিতভাবে বালাসী-বাহাদুরাবাদ রুটে চলাচল করতে পারবেন।

তিনি বলেন, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর তলদেশে অল্প সময়ের মধ্যেই নাব্যতা সংকট দেখা দেয়। তাই নিয়মিতভাবে এই রুটে একটি ড্রেজিং ব্যবস্থা রাখতে হবে। নতুবা প্রায়ই ডুবোচরে লঞ্চ আটকে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে থাকবে।

বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর চাপ কমানো এবং উত্তরবঙ্গের আট জেলার সঙ্গে যাতায়াত সহজ করতে বালাসী-বাহাদুরাবাদ ঘাট নৌরুটে পরীক্ষামূলকভাবে গত ৮ মার্চ দুটি লঞ্চ সার্ভিসের উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

এর আগে ২০১৭ সালের অক্টোবরে একনেকের এক সভায় বালাসীঘাট থেকে বাহাদুরাবাদ পর্যন্ত নৌরুটটি আবারও চালু করে ফেরিঘাট নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রকল্পটির প্রথম ব্যয় ধরা হয়েছিল ১২৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। পরবর্তী সময়ে দুবার সংশোধন করে প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে ১৪৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা খরচ করে বাস টার্মিনাল, টোল আদায় বুথ, পুলিশ ব্যারাক, ফায়ার সার্ভিস, আনসার ব্যারাকসহ বেশ কিছু স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। তবে বিআইডব্লিউটিএর কারিগরি কমিটি নাব্য সংকটসহ নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে নৌরুটটি চলাচলের অনুপযোগী বলে প্রতিবেদন দেয়।

জাহিদ খন্দকার/এমআরআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।