অশনির প্রভাবে ঝালকাঠিতে দিনভর বৃষ্টি, জনজীবন বিপর্যস্ত

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: ০৫:৪৫ পিএম, ০৯ মে ২০২২
বৃষ্টি উপেক্ষা করে নদী পার হতে ট্রলারে উঠছেন মানুষ

ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে দিনব্যাপী বৃষ্টি হচ্ছে। এতে জেলার সুগন্ধা, বিষখালী ও হলতা নদীর পানি কিছুটা বেড়েছে।

সোমবার (৯ মে) ভোরে আকাশ মেঘলা থাকে। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। দুপুর ১২টা থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছেন না। এছাড়া ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষও চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন।

রিকশাচালক সোবাহান মিয়া বলেন, বৃষ্টির কারণে রাস্তায় লোকজন কম হওয়ায় আমাদের আয় কমে গেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এ বাজারে পরিবার-পরিজন নিয়ে চলতে কষ্ট হবে।

jagonews24

দুপুরে বৃষ্টি কমার অপেক্ষায় সুগন্ধা নদীর ঘাটে দাঁড়িয়ে আছেন ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী সাদিয়া আক্তার। তিনি বলে, সকালে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন দেখে কলেজে গিয়েছিলাম। ৯টার দিকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। দুপুরে কলেজ ছুটির হওয়ার পর মুষলধারে বৃষ্টি পড়তে থাকে। সুগন্ধা নদীও উত্তাল হয়ে উঠেছে। কীভাবে নদী পাড়ি দিয়ে বাড়ি যাবো, খুব ভয় লাগছে।

নির্মাণ শ্রমিক আবুল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, সকালে আবহাওয়া একটু ভালো দেখে কাজের সন্ধানে বের হয়েছিলাম। এরপর সকাল ৯টা থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কাজ পাইনি। এখন বাড়িতে কি নিয়ে যাবো, তা নিয়ে চিন্তায় আছি।

ঝালকাঠির জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) বশির গাজী জাগো নিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় অশনি মোকাবিলায় ঝালকাঠির ৪৭৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলে প্রত্যেক এলাকার স্কুলভবনসহ সরকারি-বেসরকারি পাকা স্থাপনায় আশ্রয়ণের ব্যবস্থা করা হবে।

আতিকুর রহমান/এসজে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।